লাইফস্টাইল ডেস্ক : গ্লিসারিন ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। ফলে হাত-পায়ের ত্বক হয় কোমল ও মোলায়েম; পরিত্রাণ মেলে ঠোঁট ফাটারও…
আবহাওয়ার পরিবর্তনে বাড়ছে রুক্ষতা ও শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। সমস্যা সমাধানে ক্রিম বা লোশনের ভূমিকা তো সবারই জানা। তবে সবচেয়ে বেশি উপকারী হলো গ্লিসারিন। শুধু শীতকালে খসখসে ত্বকে আর্দ্রতা ফেরায় না বরং অন্যান্য অনেক গুণ আছে। জেনে নিন গ্লিসারিনের নানা গুণ সম্পর্কে…
এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করে। ত্বকের নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। এতে থাকা হিউমেকট্যান্ট এবং হাইগ্রোস্কোপিক উপাদানগুলো তৈলাক্ত ত্বকে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে ব্রণ, অ্যাকনে, ব্ল্যাকহেডস ইত্যাদির মতো সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ নেই বলে শুধু বয়স্করা নয়, ছোটরাও ব্যবহার করতে পারে। সহজলভ্য এই উপাদানটির আরও উপকারিতা রয়েছে। এটি ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। মেছতা, চুলকানি, প্রদাহ ও কর্কশ ভাব কাটিয়ে ত্বককে রাখে লাবণ্যময়। অনেক সময় ত্বকে পানিস্বল্পতা কমে যায়। এমনকি গ্লিসারিন ত্বকের পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। গ্লিসারিনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। নিশ্চিন্তে এটি ব্যবহার করা যায়। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিনট্রেশন বা এফডিএ থেকেও গ্লিসারিনকে সেফ বা সুরক্ষিত আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত বা র্যাশও সারিয়ে তোলে গ্লিসারিন। ত্বকে এক ধরনের সুরক্ষাকবচ তৈরি করে এটি। তাই বলে ঘন ঘন গ্লিসারিন ব্যবহার উচিত নয়।
এর বাইরেও বাজারের নানা প্রসাধনী ও সাবানেও এটির ব্যবহার রয়েছে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। কোনো কোনো প্রসাধনীতে অবশ্যই গ্লিসারিন থাকা উচিত।
♦ যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা গ্লিসারিনযুক্ত ক্লিনজার নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। এমন ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক কম শুষ্ক হয়।
♦ টোনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। যে কোনো ত্বকের জন্যই গ্লিসারিন দেওয়া টোনার ভালো। গ্লিসারিনযুক্ত টোনার ব্যবহারে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ব্যালেন্স করে দেয় গ্লিসারিন।
♦ এ ছাড়াও সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার, ফেসমাস্ক ও সাবানে গ্লিসারিন থাকলে সেগুলো নিঃসন্দেহে ত্বকের জন্য ভালো।
লেখা : উম্মে হানি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।