জুমবাংলা ডেস্ক: কোন ব্যক্তি যদি সরকারি টাকায় হজ করেন তাহলে হজ পালনকারী কি হজের পুরা সওয়াব পাবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে মাহাদুত তালীম ওয়াল বুহুসিল ইসলামিয়া ঢাকার পরিচালক ও প্রধান মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী সাহেব বলেছেন, সরকারি খরচে হজে গেলে হাজি সাহেব পূর্ণ সওয়াবই পাবেন ইনশাআল্লাহ। যদি ইখলাসের সাথে হজের শর্তাবলী পূর্ণরূপে আদায় করে থাকেন।
সরকারের হজে নেয়ার বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে হাদিয়া বা সহযোগিতা হিসেবে ধরা হবে। আর কারো আর্থিক সহযোগিতায় হজে যেতে কোন সমস্যা নেই। তবে যদি জানা যায় যে, হারাম টাকা দিয়ে পাঠানো হচ্ছে, তাহলে হজে যাওয়া যেমন জায়েজ হবে না। তেমনি ঐ হজ কবুলও হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- ‘যখন কোন ব্যক্তি হালাল সম্পদ নিয়ে হজ করতে বের হয়, বাহনে পা রাখে, উচ্চারণ করে লাব্বাইক! আল্লাহুম্মা লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে ফেরেশেতাগণ ঘোষণা দেন লাব্বাইক ওয়া সাদাইক অর্থাৎ তোমার কল্যাণ হোক। তোমার আসবাব হালাল। তোমার বাহন হালাল। আর তোমার হজ মকবুল। আর যদি হারাম সম্পদ নিয়ে হজে বের হয়, বাহনে পা রাখে, আর মুখে বলে লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে একজন ফেরেশেতাগণ ঘোষণা দেন লা লাব্বাইক ওয়া লা সাদাইক অর্থাৎ তোমার লাব্বাইক মকবুল নয়, তোমার আসবাব হারাম, তোমার ভরণ-পোষণের ব্যয় হারাম। তোমার হজও মকবুল নয়।’ (মুজামে আওসাত, হাদিস নং ৫২২৮)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।