Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home সাঁতার কেটে পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফ করেন যিনি
    ইসলাম ধর্ম

    সাঁতার কেটে পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফ করেন যিনি

    Zoombangla News DeskJune 3, 20213 Mins Read
    Advertisement

    ১৯৪১ সালে মক্কা নগরীতে লাগাতার সাতদিন বৃষ্টি হয়। ফলে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে প্রায় ছয় ফুট পানি জমে ভায়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বন্যার মধ্যে পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফ করে ইতিহাসে স্থান করে নেন। তাওয়াফ করার ছবি প্রকাশের পর শায়খ আলি আল আওয়াদি নামের বাহরাইনের ওই লোক সবার কাছে ব্যাপক পরিচিতি পান।

    আট দশক আগে তোলা ছবিতে দেখা যায়, শায়খ আল আওয়াদি পানির মধ্যে সাঁতার কাটছেন। কাবা প্রাঙ্গণে মাকামে ইবরাহিম থেকে মাত্র দেড় মিটার দূরত্বে আছেন। এদিকে তাঁর ভাই ও বন্ধুরা পেছনে কাবার দরজায় বসে আছেন।

    ২০১৫ সালে তাওয়াফ সাঁতার কেটে তাওয়াফ করা আল আওয়াদি ৮৬ বছর বয়সে মারা যান। এক বিবৃতিতে আল আওয়াদি বলেন, ‘তখন আমার বয়স মাত্র ১২ বছর। মক্কার একটি স্কুলে পড়ছি। লাগাতার সাতদিন বৃষ্টি হয়। তখন ও দুই বন্ধু মিলে একজন শিক্ষকের সঙ্গে হারাম শরিফে যাই। পুরো কাবা প্রাঙ্গণে ভয়াবহ বন্যা দেখতে পাই। তখন আমি পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণ তাওয়াফ শুরু করি’।

    মৃত্যুর আগে ২০১৩ সালে কুয়েতের টিভি আল রাই টেভিতে স্মৃতিচারণ করে শায়খ আল আওয়াদি বলেন, ‘বন্যার পানিতে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। এমনকি বাড়ি-ঘর, গাড়ি, ও গবাদি পশু ভেসে যেতে দেখেছি। সাতদিন পর বৃষ্টি থামলে আমার ভাই হানিফ, বন্ধুবর মুহাম্মদ আল তাইয়িব ও হাশিম আল বার মসজিদুল হারামের অবস্থা দেখার জন্য যাই। আমাদের শিক্ষক আব্দুল রউফ-ও সঙ্গে ছিলেন।

    সাঁতার কেটে তাওয়াফ করছেন শায়খ আল আওয়াদি। এদিকে পবিত্র কাবা ঘরের দরজায় বসে আছেন তাঁর দুই বন্ধু।

    তিনি আরো বলেন, ‘একজন দক্ষ সাঁতারু ছিলাম। তাই সাঁতার কেটে তাওয়াফের চিন্তা মাথায় আসল। আমরা চারজন পানিতে সাঁতার শুরু করি। এদিকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আমাদের থামানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ভেবেছে, সাঁতার কেটে আমরা হাজরে আসওয়াদ চুরি করার চেষ্টা করছি। আমি পুলিশকে বোঝাতে চেষ্টা করি যে আমরা শুধুমাত্র সাত চক্কর দেব। এদিকে অপর দুই বন্ধু ক্লান্ত হয়ে সাঁতার বন্ধ করে কাবা ঘরের দরজায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।

    শায়খ আল আওয়াদি আরো জানান, ‘আদেশ অমান্য করায় পুলিশ আমাকে গুলি করে কিনা সেই ভয়ে তটস্থ ছিলাম। তবে মনে মনে আনন্দ হচ্ছিল। কারণ পৃথিবীতে এভাবে সাঁতার কেটে কাবা তাওয়াফের ঘটনা খুবই বিরল। পরে জানতে পারি, আসলে পুলিশের বন্দুকে গুলি ছিল না’।

    বর্তমানে মসজিদুল হারামের জাদুঘরে ও বিভিন্ন প্রাচীন চিত্রকলার দোকানে সাঁতার কেটে তাওয়াফের দুর্লভ ছবিটি ঝুলানো আছে। আল আওয়াদির ছেলে আব্দুল মজিদ অনেক বছর আগে হজ করতে গিয়ে মক্কা থেকে বাবার দুর্লভ ছবি বাবাকে উপহার দিতে কিনে আনেন।

    তবে তিনিই প্রথম সাঁতার কেটে তাওয়াফ করেছেন বিষয়টি মোটেও এমন নয়। বরং পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে বৃষ্টির ঘটনা ইসলামের সূচনাকালেও ঘটেছে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনচরিত থেকে জানা যায়, নবুওয়াতের আগে বৃষ্টির কারণে কাবা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুননির্মাণের পর মহানবী (সা.) হাজরে আসওয়াদ আগের স্থানে বসিয়েছেন।

    প্রখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ বিন আল জুবায়ের বিন আওয়াম (রা.) (মৃত্যু : ৭৩ হিজরি) প্রথম বার কাবা ঘর সাঁতার কেটে তাওয়াফ করেছেন। হাদিস বর্ণনাকারী মুজাহিদ (রহ.) থেকে লাইস (রহ.) থেকে ইবনে আবু আদ দুনিয়া বর্ণনা করেন, ইবনে আজ জুবাইর (রা.) সব ধরনের ইবাদত করেছেন। এমনকি কাবা প্রাঙ্গণে বন্যা হয়েছে। তখনও তিনি সাঁতার কেটে তাওয়াফ করেছেন। (সিফাতুস সাফওয়াহ, পৃষ্ঠা : ৩০২/১; তারিখুল খুলাফা, পৃষ্ঠা : ১৮৭/১)

    এছাড়াও অনেক মুসলিম মনীষীও সাঁতার কেটে পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফ করেছেন। প্রখ্যাত আলেম আল বদর বিন জামাআহ (রহ.) (মৃত্যু : ৭৩৩ হিজরি) সাঁতার কেটে তাওয়াফ করেন। এমনকি তিনি প্রতি বার সাঁতার কেটে হাজরে আসওয়াদে এসে চুম্বন করেন। (কাশফুল খফা ওয়া মুজিলুল ইলবাস)

    ইসলামের ইতিহাসে সাঁতার কেটে কাবার তাওয়াফের ঘটনা খুবই বিরল। মক্কা নগরীতে বেশ কয়েক বার বন্যা হয়েছে। ইতিহাসবিদদের মতে, তবে তা সাঁতার কাটার পরিমাণ মতো ছিল না। তাছাড়া ঐতিহাসিকভাবে ভয়াবহ বন্যা দুইবার সংঘটিত হয়। একবার ইসলামের প্রাথমিক যুগে। আরেকবার আজ থেকে ৮০ বছর আগে ১৯৪১ সালে। তাই এই দুই সময়ের বিভিন্ন ঘটনা ইতিহাসে স্থান পায়।
    সূত্র : আল আরাবিয়া

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    কোরআন তিলাওয়াত

    কোরআন তিলাওয়াতকারীর বিশেষ ১০ মর্যাদা

    October 13, 2025
    মুহাম্মদ (সা.)

    মুহাম্মদ (সা.)-এর রাজনৈতিক দর্শন ও রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি

    October 13, 2025
    জুমার দিন

    জুমার দিন নামাজের আগে ও পরের বিশেষ আমল

    October 10, 2025
    সর্বশেষ খবর
    কোরআন তিলাওয়াত

    কোরআন তিলাওয়াতকারীর বিশেষ ১০ মর্যাদা

    মুহাম্মদ (সা.)

    মুহাম্মদ (সা.)-এর রাজনৈতিক দর্শন ও রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি

    জুমার দিন

    জুমার দিন নামাজের আগে ও পরের বিশেষ আমল

    গুনাহমুক্ত জীবন গঠনের সহজ কৌশল

    গুনাহমুক্ত জীবন গঠনের সহজ কৌশল

    উপকার

    মানুষের উপকার করা ইসলামে সর্বোত্তম ইবাদত

    মহানবী (সা.)

    মহানবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা আমাদের ইমানি দায়িত্ব

    উত্তম চরিত্র

    ঈমানের পর মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ উত্তম চরিত্র

    প্রবারণা পূর্ণিমা

    প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

    নবী (সা.)

    প্রিয় নবী (সা.)-এর দৃষ্টিতে শিক্ষা ও শিক্ষকের স্থান

    মর্যাদা বৃদ্ধির বিশেষ ১০ আমল

    আল্লাহর কাছে মর্যাদা বৃদ্ধির বিশেষ ১০ আমল

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.