জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার সাঁথিয়ায় স্ত্রীর দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে পৌরসভাধীন ক্লাইচড়া গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে শারমিন (২০)। সে ঢাকা উইমেন্স কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে সাঁথিয়া পৌরসভাধীন দক্ষিণ বোয়ালমারী গ্রামের প্রেমিক রনির (২৫) বাড়িতে। রনি ওই গ্রামের মৃত অধ্যাপক আকমলের ছেলে।
এদিকে অনশনরত মেয়েটিকে স্বামীর অধিকার না দিলে আত্মহ’ত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে রনির পরিবারকে। প্রেমিক রনি পলাতক রয়েছে।
সরেজমিন দক্ষিণ বোয়ালমারী গ্রামে গেলে মেয়েটি জানায়, প্রায় বছরখানেক ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলছিল। এর মধ্যে গত ৪ জুলাই শাহিদুল নামে এক স্থানীয় মাওলানা বিয়ে রেজিস্ট্রি পরে করার শর্তে বিয়ে পড়ায়। সেই থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে চলতে থাকে।
এদিকে রনির অভিভাবক এ বিয়েকে মেনে না নিয়ে বরং মেয়েকে কিছু টাকা-পয়সা দিয়ে বিদায় দিতে বলে। এর পর থেকে প্রেমিক রনির সাথে মেয়েটির যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে মেয়েটি উপায় না পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রেমিক রনির বাড়িতে স্বামীর দাবিতে অনশন করছে।
সে বলছে, হয় আমাকে স্বামীর অধিকার দিতে হবে নয়তো আমি এখানেই আত্মহ’ত্যা করব।
এদিকে প্রেমিক রনি পলাতক রয়েছে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়দের অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, আমরা তো জানি ওদের বিয়ে হয়ে গেছে। ওদের চলাফেরায় তো আমরা তাই ভাবছি। কিন্তু এখন এগুলো কি শুনছি।
এদের বিয়ে পড়ানো মাওলানা শাহিদুলকে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিয়ের পড়ানোর কথা স্বীকার করে জানান, ছেলের অনুরোধে কাবিন পরে করার শর্তে আমি তাদের বিয়ে পড়িয়ে দেই।
এ ব্যাপারে রনির মা জানান, আমি আমার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে দেখি কি করা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।