জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌর এলাকায় কামিল মাদ্রাসা মাঠে শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে পৌর আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের। সভা শেষে আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন।
গাড়িতে ওঠার সময় সেখানে হাজির হন সোহেল রানা (২৬), জুয়েল রহমান (২৭), মাহাবুবুর রহমান (২৫) নামের তিন যুবকসহ আরও ২-৩ জন তাদের অনুসারী। তারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মামুনের কাছে সংবাদ সংগ্রহে আসার জন্য টাকা দাবি করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন তাদের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিন কথিত সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের হুমকি-ধামকি দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে যুবকরা আওয়ামী লীগ নেতা মামুনের গাড়ি ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আরও অনেক সাংবাদিক এসেছিল। তারা কেউ টাকা চাইনি। অথচ নাম-সর্বস্ব কী সব অনলাইন পোর্টালের নাম বলে এরা টাকা দাবি করে। দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাড়িতে এলোপাথাড়ি ভাঙচুর করে ৩ জন পালিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর আমি থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাংবাদিক পরিচয়কারী জুয়েলের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। আর অপর দুইজনের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয়রা জানান এরা তিনজনই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।
জানতে চাইলে তানোর থানা পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম জানান, ‘মামলা দায়েরের পর এরা ৩ জন পলাতক। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’
ওসি বলেন, ‘আমি উপজেলা সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি, তারা সাংবাদিক কিনা? কিন্তু স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের ঠিকমতো চেনেনই না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।