ইতিমধ্যে আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। সাউন্ড টেকনোলজি এখন পুরোটাই ডিজিটাল। সে ক্ষেত্রে স্টেথোস্কোপও ধীরে ধীরে ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসের অতি কম মাত্রার শব্দও এখন যন্ত্রের মাধ্যমে শোনা সম্ভব। শুধু তা–ই নয়, সেই শব্দকে রেকর্ড করে রাখাও এখন সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল স্টেথোস্কোপের মাধ্যমে। এই ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগনির্ণয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে।
পৃথিবীর সব দেশেই দ্রুত বাড়ছে হৃদরোগীর সংখ্যা। পৃথিবীতে প্রতিবছর যত রোগী মারা যায়, তাদের শতকরা ৩১ ভাগ হলো হৃদরোগী। হৃৎপিণ্ডের সঠিক শব্দ শুনেই হৃদ্রোগের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ শব্দকে ইলেকট্রনিক সিগন্যালে রূপান্তর ঘটায়। তারপর সেই ইলেকট্রনিক সিগন্যালকে যেভাবে খুশি সেভাবে প্রসেস করা যায়। সেই সিগন্যাল কম্পিউটারে ট্রান্সফার করে রোগীর ফাইলে সংযুক্ত করা যায়। কোনো ধরনের নয়েজ থাকলে তা ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে বাদ দেওয়া যায়।
ডিজিটাল স্টেথোস্কোপের চেস্ট পিসে ডায়াফ্রাম ও বেলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মডিউল: ডেটা অ্যাকুইজিশন বা তথ্য সংগ্রহ, প্রি-প্রসেসিং এবং সিগনাল প্রসেসিং। ডেটা অ্যাকুইজিশনের জন্য ছোট্ট মাইক্রোফোন এবং সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এরা শব্দ সংগ্রহ করে তা ডিজিটাল সিগন্যালে পরিবর্তন করে প্রি-প্রসেসিং মডিউলে পাঠায়। প্রি-প্রসেসিং মডিউলে সিগন্যালে যদি কোনো নয়েজ বা অবাঞ্ছিত অংশ থাকে, তা বের করে নেয়।
তারপর সেই বিশুদ্ধ সিগন্যালকে পাঠানো হয় প্রসেসিং মডিউলে। ব্লুটুথ বা ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে এই সিগন্যাল পাঠানো যায়। সেখান থেকে সাউন্ড ফাইল আকারে তা রেকর্ড করা হয়। ডাক্তার সেই ফাইল শুনে রোগ নির্ণয় করতে পারেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একই ফাইল বারবার শুনতে পারেন বা অনেকে মিলে শুনতে পারেন। ভবিষ্যতে রোগনির্ণয়ে ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।