স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখেছে আম্পায়ারদের একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। পাকিস্তান ম্যাচে সাকিব আল হাসান নিজেই ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হন। ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দেয় সেই সিদ্ধান্ত। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে কোহলির ফেক ফিল্ডিং নিয়েও বিতর্ক হয় অনেক। গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার পর আম্পায়ারিং নিয়ে কোনও বিতর্ক আর চাইছে না আইসিসি। দু’টি সেমিফাইনালে এমন আম্পায়ারদের রাখা হয়েছে, যারা আপাতভাবে বিতর্কহীন।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে মাঠের দুই আম্পায়ার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে কুমার ধর্মসেনা এবং পল রাইফেলকে। দু’জনেই প্রাক্তন ক্রিকেটার। আম্পায়ার হিসাবেও সুনাম অর্জন করেছেন। সেই ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ার হিসাবে থাকছেন নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিস গাফানি। চতুর্থ আম্পায়ার রড টাকার এবং ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন।
পাকিস্তান বনাম নিউ জ়িল্যান্ডের প্রথম সেমিফাইনাল কারা পরিচালনা করবেন সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ম্যাচে মাঠে থাকবেন মারাইস ইরাসমাস এবং রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ। তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রিচার্ড কেটেলবরোকে। চতুর্থ আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারি হিসাবে থাকবেন যথাক্রমে মাইকেল গফ এবং ক্রিস ব্রড। বাকি থাকল ফাইনাল ম্যাচ। আইসিসি জানিয়েছে, দু’টি সেমিফাইনালের পরেই মেলবোর্নে আগামী রবিবার ফাইনালে কারা দায়িত্বে থাকবেন তা জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, এই বিশ্বকাপে যিনি একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন, সেই ল্যাংটন রুসেকে আর কোনও ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ঠিক সে ভাবেই ভারতের নীতিন মেনন দু’টি সেমিফাইনালের কোনওটিতেই দায়িত্বে নেই। এখন দেখার ফাইনালে তাঁকে কোনও ভাবে সুযোগ দেওয়া হয় কিনা। তবে রুসেরেকে যে আর দায়িত্ব দেওয়া হবে না, সেটা মোটামুটি জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার রুসেরের ভুল নিয়ে ব্যাপক ক্ষিপ্ত বাংলাদেশ শিবির। বাংলাদেশের ইনিংসের ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে যান ওপেনার সৌম্য সরকার। ব্যাট করতে নামেন সাকিব। পাকিস্তানের বোলার শাদাব খানের স্লো ফুলটস সাকিবের ব্যাটে লাগার পর পায়ে লেগে অন্য দিকে যায়। শাদাব এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করার পর মাঠের আম্পায়ার কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে আউট দিয়ে দেন। সাকিব সঙ্গে সঙ্গে ডিআরএস নেন।
ডিআরএসে স্পষ্ট দেখা যায়, বল আগে ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার রুসেরে বলে দেন, ব্যাটের সঙ্গে বলের কোনও যোগাযোগ হয়নি। স্নিকোমিটারে যা ধরা পড়েছে সেটি ব্যাটের মাটিতে লাগার শব্দ। বল সরাসরি সাকিবের পায়ে লেগেছে। তিনি আউটের সিদ্ধান্ত নেন। সাকিব বিশ্বাসই করতে পারছিলেন। প্রথমে অবাক হয়ে যান। তার পরে মাঠে থাকা দুই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন।
তার আগে এই রুসেরেই অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে অন ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন। সেই ম্যাচে পাঁচ বলেই ওভার ডেকে দেন। অস্ট্রেলিয়া মাত্র চার রানে জেতে। ওই একটা বল ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে পারত। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এই ঘটনা ঘটে। তখন ব্যাট করছিলেন মিচেল মার্শ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। দু’জনেই প্রথম দু’টি বলে একটি করে সিঙ্গলস নেন। এর পর ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি মারেন মার্শ। পরের বলে তিন রান নেন তিনি। পঞ্চম বলে কোনও রান নেননি। এর পরেই আম্পায়ার ওভার ডেকে দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।