জুমবাংলা ডেস্ক : রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা পার্বত্য অঞ্চলের ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন অংশের সদস্য বলে জানা যায়।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ২টায় সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।
নিহত দুজন হলেন রুপাকারি ইউনিয়নের মোরঘোনা গ্রামের মৃত শান্তি কুমার ছেলে চাকনার আশিষ চাকমা (৪৫) এবং সাজেক ইউনিয়নের উত্তর এগুজ্জ্যাছড়ি গ্রামের মৃত অনিল বরন চাকমার ছেলে দিপায়ন চাকমা (৩৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে সাজেক এর মাচালং এলাকার ব্রিজ পাড়ায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন কয়েকজন ইউপিডিএফ কর্মী ও সমর্থক। এ সময় একদল সশস্ত্র যুবক দোকানটির দিকে এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ার করতে থাকে। তখন ঘটনাস্থলেই ওই দুজন মারা যান।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিহতরা ইউপিডিএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলেই জেনেছি।
আর হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনো সুস্পষ্টভাবে জানা না গেলেও তারাও পাহাড়ের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য বলেই জেনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করছে। এ ঘটনায় মামলা হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যা খুন-গুমের রাজনীতির মধ্য দিয়ে যারা পাহাড়িদের গলা টিপে মারতে চায় তারাই নেপথ্যে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
ইউপিডিএফের বাঘাইছড়ি উপজেলা সংগঠক আর্জেন্ট চাকমা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
তবে জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর দলের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সাজেক ও মাচালং এলাকায় আমাদের কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নেই। এটা সবাই জানে।
এ ঘটনায় আমাদের অভিযুক্ত করা অনুচিত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।