নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক দুটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। পুলিশের এক অভিযানে নাটোর থেকে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণসহ আব্দুল্লাহ (৩০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের অপর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রাকভর্তি গোখাদ্য নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজধানী উত্তরা থেকে ট্রাকের সহকারী মো. আরিফ (২৬) ও চোরাই গোখাদ্য সোয়ামিল ক্রয়ের দায়ে অপু দাসকে (২৬) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও ১৩৫ বস্তা গোখাদ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল্লাহ নাটোরের লালপুর উপজেলার শেখছিলান গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের পানজোরা এলাকার একটি ওয়ার্কসপে কাজ করতেন। অপর দুই আসামি আরিফ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হামছায়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গোখাদ্য সোয়ামিল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ট্রাকটির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। অপু গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ভুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কালীগঞ্জের নাগরী বাজারে গোখাদ্যের ব্যবসা করেন।
স্বর্ণ উদ্ধার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলালের ভাতিজি জামাই। সেই সুবাদ মাঝে মধ্যে তিনি ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। গত ২৩ মার্চ সুযোগ বুঝে চাচা শ্বশুর বেলালের ঘরের আলমারিতে রাখা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালিয়ে যান। পর দিন চাচা শ্বশুর থানা অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির একটি ঘরের ইলেকট্রিক বোর্ডের ভেতরে নীল রঙ্গের একটি পলি থেকে সাড়ে সাত ভরি বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, ট্রাকভর্তি গোখাদ্য সোয়ামিল উদ্ধারের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার শুভ জানান, গত ১৯ মার্চ ট্রাকের চালক ও হেলাপার নারায়ণগঞ্জ থেকে ৩০০ বস্তা গোখাদ্য সোয়ামিল লোড করেন, বগুড়ার আলাল গ্রুপে নেওয়ার জন্য। পথিমধ্যে কালীগঞ্জে ট্রাক নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। পরে এ ঘটনায় ওই দিনই কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রাকের হেলপার আরিফকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাকটি কালীগঞ্জে তুমলিয়া ইউনিয়নের চুরিয়াখোলা থেকে ৫০ বস্তা সোয়ামিলসহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, আরিফের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার নাগরী বাজারে ২০০ বস্তা সোয়ামিল বিক্রি করে স্থানীয় ব্যবসায়ী কাছে। পরে সেই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারসহ তার কাছ থেকে ৭৫ বস্তা গোখাদ্য উদ্ধার করা হয়। বাকিগুলো খামারিদের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি। তাই ওই গোখাদ্য ব্যবহার করে ফেলায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে ১৩৫ বস্তা সোয়াসিল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও বাকি ৫০ বস্তা সোয়াসিল রূপগঞ্জে বিক্রি হয় বলেও পুলিশের কাছে জানায় আরিফ। এ মামলায় আরও একজন পলাতক রয়েছেন। তাকে এবং বাকি মালামাল উদ্ধারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।