স্পোর্টস ডেস্ক: সেনেগালের ফরোয়ার্ড সাদিও মানের দিকেই ঝুঁকে ছিল পাল্লাটা। কারণ ক্লাব ও জাতীয় দলের তাঁবুতে গত মৌসুমটা দুর্দান্ত কাটিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অনুমিতভাবেই আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন সাদিও মানে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন তিনি।
মরক্কোর রাবাতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম। লিভারপুল সতীর্থ মোহামেদ সালাহ ও জাতীয় দলের সতীর্থ এডোয়ার্ড মেন্ডিকে পেছনে ফেলে এ খেতাব জিতে নেন মানে। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছিলেন চলতি মৌসুমে লিভারপুল থেকে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়া এ ফুটবলার।
মানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বেশ শক্তই ছিলেন সালাহ। দুইজনই লিভারপুলে ইয়ুর্গেন ক্লপের মূল খেলোয়াড় ছিলেন। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন কারাবাও কাপ এবং এফএ কাপ। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা হয়েছেন রানার্সআপ।
আর ব্যক্তিগত পারফর্যমান্সে কিছুটা এগিয়েই ছিলেন সালাহ। লিভারপুলের হয়ে সালাহ গত মৌসুমে ৫১টি ম্যাচে করেছেন ৩১টি গোল। পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১৬টি গোল। মানেও সালাহর সমান ৫১টি ম্যাচ খেলে করেন ২৩টি গোল। সঙ্গে ৫টি অ্যাসিস্ট। যদিও সালাহর চেয়ে কম সময় মাঠে ছিলেন মানে।
তবে একদিক থেকে সালাহর চেয়ে বেশ এগিয়েছিলেন মানে। জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্ত সময় কেটেছে এ ফরোয়ার্ডের। গত বছর আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে সালাহর মিশরকে পরাজিত করেই চ্যাম্পিয়ন হয় মানের সেনেগাল। আবার সালাহর মিশরকেই বিদায় করে বিশ্বকাপ মঞ্চেও জায়গা করে নেয় মানের দল। দুই ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মানের।
বর্ষসেরার পুরস্কার জিতে দারুণ উচ্ছ্বসিত মানেও, ‘আমি এই পুরস্কার আবার পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত এবং সত্যিই সম্মানিত। ধন্যবাদ আমার কোচ, ক্লাব এবং জাতীয় দলের সতীর্থ এবং সেই বন্ধুদের যারা কঠিন সময়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
সবমিলিয়ে ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরার এই পুরস্কার দুইবার জিতলেন মানে। এর আগে মোহাম্মদ সালাহ, দিদিয়ের দ্রগবা, রজার মিলা, নওয়ানকো কানু ও এল হাজি দিউফ এ পুরষ্কার জিতেছেন দুইবার করে। আবেদি পেলে ও জর্জ উইয়াহ এই পুরষ্কার জিতেছেন তিনবার করে। চারবার পুরস্কারটি জিতেছেন স্যামুয়েল ইতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।