লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, অনেক মৃদুভাবে কিংবা জ্বর না থেকেও করোনাভাইরাস হতে পারে। সর্দি- কাশি কম থাকলেও হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে উপসর্গ গুলো দেখা যায় সেগুলো হলো, অনেক জ্বর হতে থাকে, জ্বরের ৪ থেকে ৫ দিন পরে শুকনো কাশি এবং তার পরবর্তিতে যদি তার শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে এটা করোনা ভাইরাসের লক্ষণ।
তিনি বলেন, যদি এমন হয় খুব বেশি জ্বর নেই, হাঁচি হচ্ছে, নাক দিয়ে পানি ঝরছে তাহলে বুঝতে হবে এটা কোভিড-১৯ নয়। সাধারণ যে ফ্লু সেটা হবে। এসকল রোগীদের বলবো সাধারণ এ হাঁচি-কাশিতে দেওয়ার সময় আপনার রোমাল বা টিসু ব্যবহার করুন। বয়জৈষ্ঠ, ডায়বেটিস, কিডনি জটিলতায় যারা ভুগছে তাদের অনেক ক্ষতির কারণ হবে।
ডা.আহমেদুল কবির বলেন, যাদের হাপানি আছে তাদের শ্বাসকষ্ট নিয়মিত বিষয়। এর সঙ্গে অন্য উপসর্গ যদি না থাকে এবং যদি স্বাভাবিক শ্বাসকষ্টের তুলনায় বেশি হয়ে যায় তখন আপনার শঙ্কিত হবার কারণ হতে পারেন।
তিনি বলেন, করোনা রোগিকে মশা কামড়ালে ওই মশা অন্য মানুষকে কামড়ালে করোনার কোনো সম্ভাবনা নেই। করোনাভাইরাস ছড়াই মানুষ থেকে মানুষে। আমরা সামাজিক দূরুত্বের কথা বলছি ৩ ফিট এটা ৬ ফিট হলে ভালো হয়। যারা পুকুরে গোসল করেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেনো করে এতে কোন সমস্যা নেই।
মাস্ক ব্যবহার প্রসঙ্গে আহমেদুল কবির বলেন, মাস্ক ব্যবহার সবার দরকার নেই। যাদের হাঁচি-কাশি, ঠান্ডা, জ্বর আছে তারা কেবল মাস্ক ব্যবহার করবেন। যাতে আপনার থেকে আরেকজন সুস্থ্য মানুষের সংক্রমন না হয়।
তিনি বলেন, কিছুকিছু মাস্ক করোনো থেকে পটেকশন দেয় যেমন সার্জিক্যাল মাস্ক আর এন-৯৫ মাস্ক। যদিও সার্জিক্যাল মাস্ক সচরাচর পাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া মাস্ক ধুয়ে পরাটা উচিৎ নয়। এর থেকে অন্য সমস্যা সৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।