স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাঙ্গালোরের শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কুয়েতকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে নবম শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। টানটান উত্তেজনাকর এই ম্যাচ মাঠে বসে দেখতে উপস্থিত ছিলেন হাজারো দর্শক। সেইসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাফের কর্তারাও।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পরিচিত এশিয়ার বিশ্বকাপ হিসেবে। কিন্তু এই টুর্নামেন্টের ফাইনালের মতো ম্যাচে মাঠে উপস্থিত ছিলেন না সাফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। নিজে তিনি যেই সংগঠনের প্রধান, সেই সংগঠনের প্রধান টুর্নামেন্টের ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছিলেন অনুপস্থিত।
টানা তৃতীয়বারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হলেও, এই সাফ নিয়ে তার যেই উদাসীনতা, সেটি খালি চোখেই দৃশ্যমান।
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর প্রধানেরা যেখানে তাদের কোনো টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই মাঠে থাকেন প্রায় সবগুলো ম্যাচেই, ঠিক সেখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র আমাদের কাজী সালাউদ্দিনের ক্ষেত্রে।
সাফের টুর্নামেন্টগুলোর ফাইনালে সালাউদ্দিনের অনুপস্থিতি নতুন কিছু নয়।
এর আগে মেয়েদের সাফের গত আসরে বাংলাদেশ শিরোপা অর্জন করে। সেই ফাইনালেও মাঠে উপস্থিত ছিলেন না সালাউদ্দিন।
সেবার কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন তিনি মাঠে থেকে খেলা দেখলে সেটি হবে বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য অতিরিক্ত চাপের। মেয়েরা যেন সেই মানসিক চাপে না ভোগেন সে কারণেই বাড়িতে বসে টিভিতে বাংলাদেশের মেয়েদের শিরোপাজয় দেখেছেন।
কিন্তু এবারতো আর বাংলাদেশ ফাইনালে খেলেনি। কুয়েতের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে সেমি-ফাইনাল থেকেই।
তবে কি কুয়েতের বিপক্ষে হারের শোক কাটিয়ে উঠতে না পারায় মাঠে যাননি সালাউদ্দিন? প্রশ্নটা তোলাই রইলো। এর উত্তরটা হয়তো খোদ বাফুফে বসই দিবেন সালাউদ্দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।