জুমবাংলা ডেস্ক: আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী ময়দানে) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। আজ বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী। স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশে উদিত হয়েছিল নতুন এক সূর্য। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধবনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে। বিভিন্ন স্থান থেকে বাসস প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
গোপালগঞ্জ :
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
রাত ১২টা ০১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান; সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের গুলিতে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খানসহ দলের সহযোগী ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত বধ্যভূমিতে এবং শহরের লঞ্চঘাটে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল পৌনে ১০টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ও আব্দুল আওয়াল শামীম টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ের উপ-কমিটির সদস্য কানতারা খানও জাতির পিতার সামধিতে শ্রদ্ধা জানান। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আলাদা আলাদাভাবে জাতির পিতার সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। জেলার অন্যান্য উপজেলা সদরেও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়।
এছাড়া মহান বিজয় দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন।
বুধবার সকাল পৌনে ১০টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ও আব্দুল আওয়াল শামীমের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদীতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কানতারা খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের নিহত সদস্য ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এসময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ :
দুর্জয় স্মৃতিসোধ্যে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এর আগে সেখানে বিজয়ের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মো.আবু জাহির এমপি, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি ও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গায় :
শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এসময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা পরিষদ ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুর ইসলাম জোয়ার্দ্দার ।
শরীয়তপুর:
শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জেলাবাসীর পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান। পরে পর্যায়ক্রমে পুলিশ সুপার এস এম আশ্রাফুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, বিভিন্ন রাজনৈতিদল ও সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ এবং বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতির সূর্য সন্তানদের।
এর পর সকাল ৭:২০ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিদিগন মহিষার গণকবর, আটিপাড়া ও মনোহর বাজার মধ্যপাড়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ জিয়ারত ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
সকাল সাড়ে ৮ টায় শরীয়তপুর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল, শিশু পরিবার, জেলখানা ও এতিম খানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ সকল মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং প্রার্থনা করা হয়।
নড়াইল :
জাতীয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে স্মৃতি সৌধ, গণকবর, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও বধ্য ভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গণকবর জিয়ারত ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিম প্রমুখ ।
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা। অপরদিকে কালিয়া উপজেলা প্রশাসকের আয়োজনে শহীদ আব্দুস সালাম ডিগ্রী কলেজের মাঠে ও লোহাগড়া উপজেলার মোল্যার মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়।
জয়পুরহাট:
করোনা প্রাদূর্ভাবের কারণে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচীর আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো: শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারি বিভিন্ন বিভাগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাসদ, সিপিবি, জাপা, বাসদ, বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দানে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এখানে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মো: শরীফুল ইসলাম। সকাল ১০ টায় ভার্চুয়ালি ’ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোকসজ্জা করা হয়। এতিমখানা, শিশু পরিবার ও হাসপাতালে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রা কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। শিশু একাডেমি আয়োজন করে শিশুদের জন্য ছবি আঁকা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
সাতক্ষীরা:সাতক্ষীরা-খুলনা রোড মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিটে) পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপির নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক সাতনদীর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, আরটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, ডিবিসির এম জিললুর রহমান, আমিরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলার সভাপতি ইমাম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান লাভলু, আমিনুর রহমান, সাংগাঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন বকুল, এড. সুনীল ঘোষ, নাজমা খাতুন, মনিরা পারভীন, ময়না খাতুন, স্বরসতী বন্দ্যোপাধ্যায়সহ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া জেলা সৈনিক লীগ ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা অপরাধ দমন বিভাগের (সিআইডি) পদস্থ কর্মকর্তারাও উপিস্থিত ছিলেন। এদিকে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে পুষ্পস্তবক করেন সাতক্ষীরা সদর এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বান্দরবান :
সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
এরপর সকাল ৮টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে পুলিশ বাহিনীর সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জেরিন আখতার।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম, মো. লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আব্দুল কুদ্দুস, রেজা সরোয়ারসহ সরকারী-বেসরকারী উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ স্ব্যাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়াও ভার্চুয়ালি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, ও দেশাত্ববোধক গানসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটিকে উদযাপন করছে প্রশাসন।
বগুড়া :
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বগুড়ায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদের তাদের নিজ নিজ চত্বরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতিকৃতি ও ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংগঠনগুলো সংগঠনেরকার্যালয়ে আলোচান সভার আয়োজনকরে।
সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে , জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংগঠনেরসভাপতি মজিবর রহমানমজনু, পুলিশ প্রশাসক আলী আশরাফ ভ্ঞূা, জেলা পরিষদে চেয়াম্যান ডাঃ মকবুল হোসেন,ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন উপস্থিত ছিলেন। , সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যুবলীগ উদীচিসহ অন্য সংগঠন আলোচনা সভা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ডাঃ মকবুল হোসেন ,সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপ,ু টি জামাননিকেতা, আসাদুর রহামান দুলু, শাহাদাৎ আলম ঝুনু, সাগর কুমার রায় সুলতান মাহমুদ খান রনি প্রমুখ।হাসপাতাল ,জেলখানা, শিশু পরিবার ,মুক ও বধির উচ্চ বিদ্যালয় , ভবঘুরে কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়।
কুমিল্লা :
সকাল সাড়ে ৬ টায় কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা, জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে নগরীর সিটি পার্কে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ মুক্তিযোদ্ধে শহীদ জেলা প্রশাসক এ কে এম সামছুল হক, ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে শহীদ পুলিশ সুপার মুন্সী কবির উদ্দিনের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এছাড়াও জেলার বুড়িচং উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বুড়িচং উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দিবসের অন্যান্য কর্মসুচির মধ্যে সকাল ৮টায় কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা প্রদর্শনী হয়। সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসক বাসভবনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও বিকেল ৩ টায় বিজয় র্যালী, সন্ধ্যায় আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর :
আজ বুধবার সকাল ৬ টা ৪১ মিনিটে রাষ্ট্রের পক্ষে ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, মুুুতিযোদ্ধা ইউনিট, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে এ্যাড পল্লব ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, উপজেলা পরিষদ, গণপূর্ত বিভাগ, সরকারি মহিলা কলেজ, এলজিইডি বিভাগ, জেলা যুবলীগ, মেহেরপুর সরকারী কলেজ, জেলা কারাগার, শিল্প কলা একাডেমি, সমাজ সেবা বিভাগ প্রমুখ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সেখানে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাগেরহাট :
সকাল ৭টায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের দশানীস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন কেএম হুমায়ুন কবির, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোছাব্বেরুল ইসলাম, বােেগরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ড. আজাদ ফিরোজ টিপু, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শওকত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সকল শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এগারোটায় স্বাধীনতা উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এসব কর্মসূচি শেষে দশানীস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল নামে। একে একে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগ, সমাজতান্ত্রিক দল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, শিক্ষা প্রকৌশল, জেলা মৎস্য বিভাগ, বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি, বাগেরহাট প্রেসক্লাব, সরকারি পিসি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, রাজনৈতিক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নাটোর: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় স্থাপিত স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অপর্ণ, এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. সাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. সিরাজুল ইসলামসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ শহরের কান্দিভিটুয়ায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করে।
বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক ভার্চুয়ালী আলোচনা সভায় সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ । শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আতœার মাগফেরাত/ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। জেলা কারাগার, হাসপাতাল, শিশু সদন ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা রেজা, রঞ্জুর কবর এবং হ্যাপী-অবিনাশের কবরে পুষ্প স্তবক অর্পণও ফাতেহা পাঠ করা হয়।
অপরদিকে, সূর্যদয়ের সাথে সাথে নাটোরের সিংড়া কেন্দ্রীয় স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গুরুদাসপুর উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতায় নিহত বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপজেলা চত্বরে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। বাগাতিপাড়া স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল।
ময়মনসিংহ : নগরীর পাট গুদাম স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি। পরে এক এক করে ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, র্যাব- ১৪ এর কমইন্ডং অফিসার লেফটেন্ট অফিসার এফতেখার উদ্দিন , ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান, আওয়ামীলীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠন, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। অপরদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউজে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসানের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য অন লাইনে রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা , আলোচনা অনুষ্ঠান , বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, শিশুদের জন্য মুক্তিযোদ্ধাভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।
যশোর: জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে শহরের মণিহার এলাকাস্থ বিজয়স্তম্ভে ভোর ৬টা ৩৭ মিনিটে ফুল দেয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে যশোরবাসী। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ঢল নামে বিজয়স্তম্ভে। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক,পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বেলা ১১ টায় কালেক্টরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা। ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতির সমৃদ্ধি অর্জণ’শীর্ষক এ আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচায্য ভার্চুয়ালী অংশ নেয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্তহন সংসদ সদস্য কাজী নবিল আহমেদ,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার আশরাফ হেসেনে। সভায় বৃহৎর যশোরের মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি,জেলা আওযামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন,সহসভাপতি হায়দার গনি খাঁন পলাশ বক্তব্য রাখেন। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান সভায় সভাপতিত্বে করেন।
নীলফামারী: জেলা শহরের স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লান পাদদেশে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে সার্কিট হাউজ চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান।
এ সময় জেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বরণ করে নেন জেলা প্রশাসক। পরে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যেগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী। বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর কবির, সাবেক সংসদ সদস্য এন কে আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভুষন কু-ু প্রমুখ।
ফারুকী পার্কে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুস্প স্তবক অর্পণ করে শহীদদেও প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পর আওয়ামীলীগ, বিএনপি, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও দিনটি পালনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল, কারাগার-হাসপাতাল-সরকারি শিশু পরিবারে বিশেষ খাবার বিতরণসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
নোয়াখালী : সকালে জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ নারী কল্যান সমিতি, নোয়াখালী পৌরসভাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সকালে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এছাড়া দুপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সকল উপজেলায় ও নোয়াখালী ব্জ্ঞিান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।
কুড়িগ্রাম : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলেজ মোড়স্থ স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমে মঞ্জু, প্রেসক্লাব সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গকে সংবর্ধনা ও উপহার বিতরণ, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা, হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবগুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, অনলাইন ও ডাকযোগে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পাবনায় যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত
পাবনা: পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর সাহমুদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল ও পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ ‘দুর্জয় পাবনা’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা মেডিকেল কলেজ, সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, পাবনা কলেজ, জেলা বিএনপি, পাবনা প্রেসক্লাব, হাজী জসীম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ, পাবনা সংবাদ পত্র পরিষদ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কবিতা আবৃত্তি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগ সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, দুপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে বিজয় র্যালী করে শহরের প্রধান সড়কগুলো পদক্ষিণ, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসুচী পালন করে ।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ১০.৩০ টায় করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও স্বাধীনতা চত্বরে ফুল দিয়ে মহান শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
পাবনা জেলা পরিষদ পুষ্পার্ঘ অর্পণ আলোচনা সভা সহ নানা কর্মসুচী পালন করে। প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এসব কর্মসুচী প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল।
এছাড়া জেলার সর্বত্র বিজয় দিবস উৎযাপন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ও দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।