জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের ৪ নম্বর রোডের যে বাসায় প্রতারক সাহেদ ভাড়া থাকেন সেই বাসাটির মালিক একজন প্রবাসী চিকিৎসক। বাড়িটির ভাড়া তোলাসহ বাসার সার্বিক বিষয় দেখভাল করেন বাড়ির মালিকের বোন লিনিয়া দেওয়ান।
লিনিয়া গতকাল জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক সমকালকে বলেন, দুই বছর আগে বাসা ভাড়া নিতে আসে সাহেদ। তার সঙ্গে অনেক অস্ত্রধারী দেহরক্ষী ছিল। এ অবস্থা দেখে তাকে বাসা ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যাতে তাকে ভাড়া দেওয়া না লাগে তাই তার কাছে তিন মাসের অগ্রিম ভাড়া চান লিনিয়া। এরপর সাহেদ যা করেছেন তাতে বিস্মিত হন লিনিয়া। সাহেদ লিনিয়াকে বলতে থাকেন- ‘জানেন আমি কে? এভাবে উঁচু গলায় কখনও কথা বলবেন না।’ এরপর একজনকে হাতে ইশারা করেন তিনি। ইশারার পর একটি ব্রিফকেস বাসায় নিয়ে ঢোকেন ওই ব্যক্তি। ব্রিফকেস খুলেই তিন মাসের ভাড়ার টাকা অগ্রিম দেন সাহেদ। ওই ব্রিফকেসে আরও অনেক টাকা ছিল।
এমন দৃশ্য দেখে লিনিয়া ভাবেন, এসব টাকা নকল। তখন তিনি সাহেদকে বলেন, বাসার ম্যানেজার ব্যাংকে গিয়ে নিশ্চিত হবে টাকা আসল কিনা। সে অনুযায়ী ব্যাংকে গিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় টাকা সত্যি আসল। এভাবেই দু’বছর আগে বাসা ভাড়া নেন সাহেদ। তিনি আরও বলেন, ভাড়াটিয়া হিসেবে এরপর আর তার সঙ্গে খুব একটা কথা হতো না। সেও ঝামেলা করেনি। বাড়ির আশপাশের কারও সঙ্গে খুব একটা মিশত না সাহেদ। ডিওএইচএসের কোনো অনুষ্ঠানে যেত না। আশপাশের কেউ তার প্রতারণা সম্পর্কে কিছু জানতেন না। খবরের কাগজ আর টিভিতে দেখে বাড়ির ভাড়াটিয়ার এত ‘গুণ’ সম্পর্কে জানতে পারেন লিনিয়া।
তিনি এও জানান, প্রথমে তার সঙ্গে এক বছরের চুক্তি ছিল। পরে সন্তান ছোট জানিয়ে ভাড়ার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে নেন। এরপর কয়েকবার তাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হলেও আমলে নিত না সাহেদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।