জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় শারমিন আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে ঘাড় মটকে গলায় রশি ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শারমিন আক্তার ধামাইনগর ইউনিয়নের আন্ডার ভোল্লাবাড়ি গ্রামের মৃত আ. রহমান শেখের ছেলে ওবায়দুলের স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে ওবায়দুলের সঙ্গে একই উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের আবু সাঈদের তৃতীয় কন্যা শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। শারমিনের সঙ্গে বিয়ের আগেও দুটি বিয়ে করেছিল স্বামী ওবায়দুল। তাদেরও বিভিন্ন সময় মারধর করত বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্যাতন সইতে না পেরে তারাও সেই বাড়িতে টিকতে পারেননি।
শারমিন তার তৃতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকেই অমানুষিক নির্যাতনের কথা মাঝেমধ্যে তার বাবা-মাকে ফোনের মাধ্যমে জানাত। বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অনেকবারই দেন-দরবার হয়। এতেও নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে স্বামী তার পরিবারের লোকজনের সহায়তায় শারমিনকে শারীরিক নির্যাতন করে ঘাড় মটকে গলায় দড়ি দিয়ে শয়নকক্ষের মেঝেতে ফেলে রাখে। বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হলে শারমিনের বাবাকে ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়।
নিহত শারমিনের বাবা ঘটনার সত্যতা জানার জন্য ওবায়দুলের সঙ্গে রাত ২টার দিকে মোবাইল ফোনে কথা বললে মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করে। অপরদিকে নিহত গৃহবধূর স্বজনরা ঘটনার ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানায় জানালে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূর স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার এসআই মহসিন জানান, মরদেহ সুরতহাল নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।