আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাসা থেকে বের হন মার্চের শুরুতে। কেউ বলছিলেন সুইডেন থেকে আরেক দেশে ‘নির্বাসিত’ হয়েছেন। কেউ আবার বলছিলেন ‘নিখোঁজ’। সাজিদ হুসেন নামের ওই পাকিস্তানি সাংবাদিকের সন্ধান শেষ পর্যন্ত যখন পাওয়া গেল, তখন তিনি ভাসছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা সুইডেনেরই একটি নদীতে। নিথর, প্রাণহীন!
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে পালিয়ে সাজিদ ২০১৯ সালে সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। গত ২ মার্চ থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
তাকে সর্বশেষ দেখা যায় সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে ৩৫ মাইল দূরের উপসালা নামের একটি শহরে।
সুইডিশ পুলিশের মুখপাত্র জোনাস ইরোনেন শুক্রবার বলেন, ‘গত ২৩ এপ্রিল ফাইরিশ নদী থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
তিনি জানান, হারানোর আগে সাজিদ তার বন্ধু আব্দুল মালিকের সঙ্গে স্টকহোমে থাকছিলেন। উপসালার উদ্দেশ্যে যখন দুজন রওনা দেন ‘ভালো মুডে’ ছিলেন।
সাজিদের স্ত্রী শাহনাজ সেদিন তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। শাহনাজ জানান, উপসালার নতুন একটি বাসায় ওঠার পরিকল্পনা ছিল তার।
সাজিদ গত বছর সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয় পেলেও পাকিস্তান থেকে পালান ২০১২ সালে। বেলুচিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন করে ক্ষমতাসীনদের রোষানলে পড়েন। পুলিশ তার বাড়ি ঘেরাও করে। সাজিদ কোনোরকমে পালাতে সক্ষম হন।
বিদেশে বসেই নিজের প্রতিষ্ঠিত অনলাইন সংবাদমাধ্যম বেলুচিস্তান টাইমসের প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ চালিয়ে যান। নিয়মিত লিখতে থাকেন পাকিস্তানের মাদক, গুম এবং দীর্ঘদিনের বিদ্রোহ নিয়ে।
পাকিস্তান থেকে পালানোর পর সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এবং উগান্ডা হয়ে ২০১৮ সালে সুইডেনে যান।
সাজিদের পরিবার জানিয়েছে, স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে সেখানে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের জন্য পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম ‘ভয়ানক’ একটি জায়গা। ২০১৯ সালের আরএসএফ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ১৪২ নম্বরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।