জুমবাংলা ডেস্ক : জেলার পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে লবণ পানি প্রজাতির কুমির পিলপিলের ৪৪টি ডিমের মধ্য থেকে মাত্র ৪টি বাচ্চা ফুটেছে। গত ১২ জুন প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে কুমির পিলপিল ৪৪টি ডিম পেড়েছিল। এরপর ডিমগুলো সংগ্রহ করে তার মধ্য থেকে ২১টি ডিম বাচ্চা ফুটানোর জন্য পুকুর পাড়ে পিলপিলের ডিম পাড়ার বাসায়, ১২টি পুরাতন ইনকিউবেটরে আর ১১টি নতুন ইনকিউবেটরে রাখা হয়।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নতুন ইনকিউবেটরে রাখা ১১টি ডিমের মধ্য থেকে ৪টি বাচ্চা ফুটে বের হয়। বাকি ডিমগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। এর আগে, গত ২৯ মে অপর কুমির জুলিয়েট ৫২টি ডিম পাড়লেও তা থেকে কোনো বাচ্চা ফোটেনি।
গত ৩ বছর কুমির জুলিয়েট ও পিলপিলের ডিম থেকে কোনো বাচ্চা জন্ম না হলেও এবার কুমির পিলপিলের ৪৪টি ডিমের মধ্য থেকে ৪টি বাচ্চা ফোটায় আশার আলো দেখছেন সুন্দরবন বিভাগ। একবছর আগে আলেকজান্ডার নামে নতুন একটি যুবক কুমির রাখায় পিলপিলের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে বলে জানিয়েছেন কুমির প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
শনিবার পিলপিলের ডিম থেকে ফুটে বের হওয়া ৪টিসহ কুমির প্রজনন কেন্দ্রের মোট কুমিরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৯টিতে। প্রজনন কেন্দ্রে পিলপিল ও জুলিয়েট নামের দু’টি নারী কুমির দিয়েই প্রজনন কার্যক্রম চলে আসছে।
সুন্দরবনের চাঁদপই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজাদ কবির জানান, শনিবার সকালে নতুন ইনকিউবেটরে রাখা ১১টি ডিমের মধ্য থেকে ৪টি বাচ্চা ফুটেছে। এবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে নতুন ইনকিউবেটরে রেখে কুমিরের ডিম থেকে বেশি বাচ্চা ফোটানো সম্ভব হবে।
মূলত সুন্দরবনে বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানির প্রজাতির কুমিরের প্রজনন ও বংশ বিস্তারের লক্ষ্যেই ২০০০ সালে করমজলে এই কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি চালু করে বন বিভাগ। করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্রে বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৯৯ টি কুমির রয়েছে। এছাড়াও এ প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক ৯৭টি কুমির সুন্দরবনের নদ-নদীতে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।