জুমবাংলা ডেস্ক : বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ক্রু রাবেয়া শেখ মৌসুমি হাকিমের সামনে ১০ কেজি স্বর্ণ চোরাচালানে সম্পৃক্ততার বিষয়ে মুখ খুলেছেন। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের খাসকামরায় তার দেওয়া জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করেন। স্বীকারোক্তি গ্রহণ শেষে বিধিমোতাবেক মৌসুমীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে সকালেই আদালতে হাজির করে এসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি রিমান্ডে থাকাকালে তার নিকট শরীর থেকে উদ্ধার ৮২টি স্বর্ণের বার সম্পর্কে স্বীকার করেছে। সহযোগী অন্যদের সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে চায়। ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এর প্রেক্ষিতে আসামিকে হাকিমের খাসকামরায় নেওয়া হয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) তাকে আটক করে। মৌসুমী একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ক্রু হিসেবে কর্মরত। বৃহস্পতিবার মাস্কাট থেকে ঢাকায় অবতরণ করা বেলা ১১টার ফ্লাইটে ছিলেন। সে ফ্লাইট থেকে নেমে ডমেস্টিক টার্মিনালে গিয়ে গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করেন। এপিবিএন তাকে চ্যালেঞ্জ করে বিমানবন্দরের এপিবিএন কার্যালয়ে নিয়ে যায়। দেহ তল্লাশি করে পকেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে বাদামি (ব্রাউন) স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ৮২টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার ওজন ১০ কেজি।
তাকে আটকের পর বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএর এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তিনি আগে থেকেই নজরদারিতে ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।