আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছে।
আজ (সোমবার) রাজধানী নেপিডোর আদালতে শুনানির জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিয়ানমারের সাবেক এই স্টেট কাউন্সিলরকে হাজির করার পর সু চির বিরুদ্ধে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের বিধিনিষেধ ভঙ্গের নতুন এই অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গত বছর আগস্টে নেপিডোতে জাবুথিরি টাউনশিপে সু চি তার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) দলীয় সদস্যদের বাড়ি সফর করেন। এই সময় ‘প্রচুর জনসমাগম’ হয় যা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশটিতে চলমান বিধিনিষেধের লঙ্ঘন।
অং সান সু চির আইনজীবী মিন মিন শুই বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, সুচির বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ২৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে ৭৫ বছর বয়সী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সংখ্যা ছয়ে দাঁড়িয়েছে- পাঁচটি নেপিডোতে এবং একটি ইয়াঙ্গুনে লিপিবদ্ধ অভিযোগ।
এর আগে সুচির বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে ভিন্ন একটি অভিযোগসহ, আমদানি-রপ্তানি আইন, যোগাযোগ আইন, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আইন ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়।
মিন মিন শুই জানান, বর্তমানে অং সান সু চি নেপিডোতে গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। আদালতে তাকে সুস্থ দেখালেও মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তার কোনও ধারণা আছে কি-না তা স্পষ্ট নয়।
এ ছাড়া আজ সোমবার, মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও নেপিডো উন্নয়ন কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও এনএলডির পার্লামেন্ট সদস্য ড. মিও অংকে আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানির সময় উইন মিন্ট, অং সান সু চি ও অন্যরা আদালতে নিজেদের আইনজীবীদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ ও পরামর্শের আবেদন করেন।
আদালতে সামরিক জান্তার প্রতিনিধিরা জানান, এই আবেদন তারা তাদের উচ্চপদস্থদের কাছে পেশ করা হবে। আদালত ২৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত করে।
এদিকে মিয়ানমারের অবস্থা পর্যব্ক্ষেণকারী থাইল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) তাদের রবিবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে বিক্ষোভে সামরিক জান্তার দমন অভিযানে অন্তত সাত শ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।