জুমবাংলা ডেস্ক: চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় সূর্যমুখীর হাসিতে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্নে হাসছেন চাষী জসীম উদ্দিন। তার চাষকৃত জমিতে দূরদূরান্ত মানুষ এখন সূর্যমুখীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ও ছবি তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জসীম উদ্দিন দেওয়ানজিকান্দি গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন। এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। তিনি হাইসেন জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে আশার আলো দেখছেন।
মতলব উত্তরের কৃষি অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশিয় ঘানি ব্যবহার করলে পরিপক্ক সূর্যমুখী ফুলের বীজ থকে তেল ভাঙানো যায়। আর স্বাস্থ্য ঝুঁকিও এই তেলে কম। দেওয়ানজিকান্দি গ্রামে ১৮ শতাংশ জমিতে কৃষক জসিম উদ্দিন সূর্যমূখী চাষ করেছেন।
এ বিষয়ে চাষি জসীম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। গতবছরেও আমি সূর্যমুখীর চাষ প্রথমবারের মতো করে লাভবান হয়েছিলাম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এই বছরও লাভবান হবো। আগামী দিনেও সূর্যমুখীর চাষ আরও বাড়াতে চাই।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী দিনে উপজেলার অন্যান্য এলাকায় যাতে এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায়। সেজন্য কৃষকদের বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। অন্যান্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলের তেলের চাহিদা সব স্থানেই বেশি। তাই আমরা এই তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখী চাষবাদে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।