স্কুলের বইয়ে বাচ্চাদের পড়ানো হয় যে, সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেটস রোগ হয়ে থাকে। তবে আসলে এটি কী এবং এর গুরুত্ব কতটুকু এবং এর অন্যান্য উৎস সম্পর্কে খুব বেশি মানুষ জানে না। আজকের আর্টিকেলে এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
শরীরে প্রোটিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। আমাদের দেহে ক্যালসিয়াম বা ফসফরাসের দরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন ডি। দাঁতের মাংসপেশির এবং হাড়ের গঠন ঠিক থাকার জন্য ভিটামিন ডি বেশি জরুরি।
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি অবদান রাখে। ৭০ শতাংশ ভিটামিন ডি সূর্যের আলো থেকে আসে। শরীরের ত্বকের মাধ্যমে সূর্যের আলো দ্বারা রাসায়নিক ক্রিয়া শুরু হয়। বাকি ৩০ শতাংশ ভিটামিন ডি আমরা নিয়মিত খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি।
সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ভিটামিন-ডি তৈরি করার জন্য বেশি উপযুক্ত সময়। সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনা ইত্যাদি থেকে ভিটামিন ডি পেতে পারেন। ডিমের কুসুম এবং রেড ফিশ থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতে থাকলে হাড়ের সমস্যায় ভুগবেন। ছোট থেকে বয়স্ক যে কেউ এ সমস্যায় ভুগতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রে এ সমস্যাকে বলে অস্টিওম্যালাসিয়া এবং ছোটদের ক্ষেত্রে বলা হয় রিকেটস।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে, ব্যাথা অনুভব করতে পারেন এবং হাড় ভেঙ্গেও যেতে পারে। ছোটদের ক্ষেত্রে বিকাশজনিত সমস্যা দেখা যায়। ভিটামিন ডি কমে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
ফলে আপনি অল্পতেই ঠান্ডা, সর্দি সহ নানা রোগে ভুগতে পারেন। আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি আছে কিনা তা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বের করা সম্ভব। যদি এটির পরিমাণ ২৫ ন্যানোমল পার লিটারের নিচে থাকে তাহলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
যারা সূর্যের আলোতে কম বের হন বা শীতকালীন অঞ্চলে বাস করেন তাদের দেহে ভিটামিন ডি এর অভাব হতে পারে। যত ভিটামিনের অস্তিত্ত্ব রয়েছে তার মধ্যে এটি পাওয়াই সবথেকে সহজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।