Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home সেই সন্তোষ চাকরি পাচ্ছেন, যা বললেন চা শ্রমিক সেই মা
জাতীয়

সেই সন্তোষ চাকরি পাচ্ছেন, যা বললেন চা শ্রমিক সেই মা

Sibbir OsmanAugust 18, 20224 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর পাস করা মৌলভীবাজারের সেই সন্তোষ চাকরি পেতে যাচ্ছেন। এতে সন্তোষ যত খুশি, এর চেয়ে অনেক বেশি সন্তুষ্টি মায়ের। পরম পাওয়ার আনন্দে তাঁর চোখমুখ উজ্জ্বল—এবার তাঁর সুখ হবে।

জানা গেছে, বুধবার (১৮ আগস্ট) সরকারি খাদ্য সহায়তা নিয়ে সন্তোষদের বাড়ি যান কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাতউদ্দিন। আগামী রবিবার মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সন্তোষকে।

কমলগঞ্জের ইউএনও সিফাতউদ্দিন বলেন, মৌলভীবাজারের ডিসি স্যার আমাকে একটা নিউজ হোয়াটসঅ্যাপে দিয়ে এই মা-ছেলের ব্যাপারে খোঁজ নিতে বললেন। বুধবার তাঁদের বাসায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে চালডালসহ বেশ কিছু খাবার দিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তাও দিয়েছি।

তিনি বলেন, সন্তোষকে আপাতত খণ্ডকালীন কোনো চাকরি দেওয়া যায় কি না, সেই চেষ্টা করছি। আশা করছি, আগামী রবিবার সুখবরটা দিতে পারব।

এর আগে আনোয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকেও সন্তোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) ও ইউনিট এইচআর (সিমেন্ট ডিভিশন) প্রধান মনোজ কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা সন্তোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁর জন্য একটা চাকরির সুপারিশ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বিষয়টি তাদের বিবেচনাধীন।’

মৌলভীবাজারের শমসেরনগরে ফাঁড়ি কানিহাটি চা বাগানের এক শ্রমিক পরিবারে জন্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সন্তোষ রবিদাস অঞ্জনের। জন্মের মাস ছয়েকের মাথায় বাবাকে হারিয়েছিলেন। মা কমলি রবিদাস চা বাগানের শ্রমিক।

মা-ছেলের এই সংগ্রামের গল্প নিয়ে ‘মায়ের নামটা কেটে দিল’ শিরোনামে সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিকে একটি ফিচার প্রকাশিত হয়। মা-ছেলের করুণ এই গল্পগাথা ফেসবুকে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।

এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর ছেলের চাকরির খবরে সন্তোষের মা বলেন, ‘জ্বর আসিছে বাবা। ওর কথা লোকে বইলছে দেখে একটু ভালো লাগিছে। বাচ্চা (ছেলে) যদি ভালা কোনো রুজি (চাকরি) পায়, তাহলে আমার সুখ অইবো।’

জানা যায়, সন্তোষের মা কমলি রবিদাস। ছেলের জন্মের ছয় মাসের মাথায় স্বামীকে হারান তিনি। এরপর পড়েন অথৈ সাগরে। অভাব-অনটন ঘিরে ধরে তাকে। মৌলভীবাজার জেলার শমসেরনগরে ফাঁড়ি কানিহাটি চা-বাগানে কাজ করে তখন তিনি দৈনিক মজুরি পেতেন ১৮ টাকা।
সন্তোষ চাকরি
সন্তোষ বলেন, ‘সে সময় আমাকে পটের দুধ খাইয়ে, অন্যের বাসায় রেখে মা বাগানে যেতেন। ২০০৭ সালে আমি যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি, তখন মায়ের মজুরি ছিল ৮৮ টাকা।’

‘একদিন মা বললেন- বাজারে গিয়ে ৫ কেজি চাল নিয়ে আয়। সেই চাল দিয়ে এক মাস চলেছে আমাদের। পরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি মা চাল ভাজলেন। পলিথিনে সেই ভাজা চাল, আটার রুটি আর লাল চা একটা বোতলে ভরে গামছায় পেঁচালেন। আর আমাকে আটার রুটি ও লাল চা দিলেন।’

‘দুপুরে খেতে গিয়ে দেখি শুধু পেঁয়াজ, শুকনা ভাত, তেল আর লবণ আছে। তা দিয়ে মেখে খেলাম। রাতেও কোনো তরকারি ছিল না। তখন পাশের বাসার কাকু আমাকে ডেকে কুমড়া আর আলু দিয়েছিলেন, যা দিয়ে আমরা ২ দিন পার করেছিলাম। তখন কুপি বাতির আলোয় পড়তাম। মা আগেই রেডি করে দিতেন বাতি। তেল শেষ হয়ে গেলে আর পড়া হতো না। দোকানদার বাকিতে তেল দিতেন না।’

পঞ্চম শ্রেণির পর ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন স্কুলে ৫ বছরের জন্য ফ্রি পড়ালেখার সুযোগ পান সন্তোষ। তখন মা অনেক খুশি হয়েছিলেন। সামান্য আয়ের একটা অংশ থেকে সন্তোষকে টিফিন খাওয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা দিতেন তিনি।

২০১৩ সালে বিএএফ শাহীন কলেজে ভর্তি হন সন্তোষ। তখন মা ১০২ টাকা মজুরি পেতেন। সেসময় তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সন্তোষের ভর্তির টাকা, ইউনিফর্ম আর বই-খাতা কিনে দিয়েছিলেন।

২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস। মায়ের হাতে টাকা নেই। তখন সন্তোষের এইচএসসির রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছিল। মা ৫০ টাকার একটা নোট হাতে দিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে ছেলেকে বলেছিলেন, ‘কেউ ধার দেয়নি রে বাপ’। কলেজের এক শিক্ষকের কাছ থেকে ধার নিয়ে সেবার রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েছিলেন সন্তোষ।

এইচএসসির পর ভর্তি পরীক্ষার কোচিং। মা তখন আবার ঋণ নিলেন ব্যাংক থেকে। ঋণের কিস্তি পরিশোধে মা তখন বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে বালু শ্রমিক হিসেবেও কাজ করেছিলেন। বিনিময়ে পেতেন ৩০০ টাকা। তিনি জানতেন ঘরে চাল নেই। শুধু আলু খেয়েই অনেক বেলা কাটিয়ে দিয়েছেন।

সন্তোষ বলেন, ‘এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাই। এ খবর পেয়ে মা তখন কী যে খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু ভর্তির সময় যত ঘনিয়ে আসছিল, মায়ের মুখটা তত মলিন দেখাচ্ছিল। কারণ চা-বাগানে কাজ করে যা পান তা দিয়ে তো সংসারই চলে না। ভর্তির টাকা দেবেন কোথা থেকে। পরে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সহায়তা করলেন।’

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশনি করেই চলতাম। থাকতাম জগন্নাথ হলে। হলের ক্যান্টিনে ২০ টাকার সবজি-ভাত খেয়েই দিন পার করেছি। অনেক দিন সকালে টাকার অভাবে নাশতাও খেতে পারিনি। দুর্গাপূজায় কখনো একটা নতুন জামা কিনতে পারিনি।’

‘২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ মা হিসেবে উপজেলায় মাকে সম্মাননা দেওয়া হবে বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জানানো হয়। পরে মায়ের নামটা কেটে দেওয়া হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মা আমার চা-শ্রমিক। স্টেজে উঠে নাকি কিছু বলতে পারবেন না। তাই নাম কেটে দিয়েছে।’

‘মা এখনো প্রতিদিন সকালে একটা বোতলে লবণ, চা-পাতা ভর্তা, আটার রুটি, সামান্য ভাত পলিথিনে ভরে নিজের পাতা তোলার গামছায় মুড়িয়ে নিয়ে দৌড়ান চা-বাগানে। ৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পান। এই মজুরিতে কীভাবে চলে একজন শ্রমিকের সংসার? আজকাল মায়ের শরীর আর আগের মতো সায় দেয় না।’

সন্তোষ বললেন, ‘এত কষ্টের পরও মা আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। চাকরি হলে আমাদের কষ্টের কথা তুলে ধরার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’

বড় সুখবর আসলো মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় চা চাকরি পাচ্ছেন বললেন মা যা শ্রমিক সন্তোষ সেই
Related Posts
অনলাইনে ভ্যাটের

অনলাইনে ভ্যাটের কার্যক্রম চলবে ই-ভ্যাট সিস্টেমে

December 24, 2025
বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন

দেশের সব বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ

December 24, 2025
সর্বোচ্চ বয়সসীমা

সরাসরি নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ

December 24, 2025
Latest News
অনলাইনে ভ্যাটের

অনলাইনে ভ্যাটের কার্যক্রম চলবে ই-ভ্যাট সিস্টেমে

বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন

দেশের সব বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ

সর্বোচ্চ বয়সসীমা

সরাসরি নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ

ডিএমপি

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৯২৫ মামলা

ইনকিলাব মঞ্চ

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আর খারাপের দিকে যাবে না : অর্থ উপদেষ্টা

দীপু চন্দ্রের পরিবারের পাশে দাঁড়াল সরকার

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের পাশে দাঁড়াল সরকার

উপদেষ্টা

নির্বাচন কমিশনে গেলেন ৪ উপদেষ্টা

আইজিপি

নির্বাচনে আমাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন : আইজিপি

বর্জ্য পোড়ানোর ছবি

বর্জ্য পোড়ানোর ছবি পাঠালে মিলবে পুরস্কার

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.