জুমবাংলা ডেস্ক: বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার সুমন বেপারীকে নিয়ে চাঞ্চল্য এখনও থেমে নেই। গত কয়েকদিনে সুমন ব্যাপারীর পলাতক থাকার ঘটনাকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিলেন তার পরিবার। জানালেন, তিনি পালিয়ে যান নি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সুমন বেপারীর বড় ভাই শাহীন বেপারী বলেন, ‘আমার ভাই সুমন পালিয়ে যাবে কেন? সুমন ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩নং ভবনের ১নং ওয়ার্ডে ১৪নং বেডে ভর্তি রয়েছে। চাইলে দেখে যেতে পারেন।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ৩নং ভবনে ভর্তি করা হয় তাকে। এর আগে উদ্ধার হওয়ার পর তাৎক্ষণিক ২নং ভবনের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল সুমনকে।
সুমনের ভাই শাহীন বেপারী আরও বলেন, ভাইকে নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যে যা বলার বলুক। আল্লাহর রহমতে ভাই বেঁচে ফিরেছে এতেই শুকরিয়া। সবার কাছে দোয়া চাই আমার ছোট ভাই সুমন যেন তাড়াতাড়ি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।
তবে বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে ভিন্ন তথ্য। ইউএনবি’র প্রতিনিধি সুমনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নে সরেজমিন পরিদর্শনে পায় ভিন্ন তথ্য। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারী এবং সুমনের বড় ভাই শাহাজাহান বেপারী জানান, গত বুধবার সুমন গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং বৃহস্পতিবার সারাদিন বাড়িতে ছিলেন। ঢাকা থেকে জরুরি ফোন পেয়ে পরদিন শুক্রবার আবার ঢাকায় যায় এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হন।
আব্দুল্লাহপুরে সুমনের গ্রামের আরও অনেকেই একই কথা বলেন ইউএনবি’র প্রতিনিধিকে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটের অদূরে শ্যামবাজার ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। ঘটনার পর নদী থেকে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে লঞ্চটি টেনে তোলার সময় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুমন বেপারীকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।