জুমবাংলা ডেস্ক : সোনাগাজীতে করোনা উপসর্গে শাহাব উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর লাশ রেখে পালিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। শাহাব উদ্দিন উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের আনার আহমদের ছেলে।
মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু জানান, পরিবারটি চট্টগ্রামে বসবাস করত। দুদিন আগে তারা বাড়িতে আসেন। রোববার রাতে নিজ বাড়িতে শাহাব উদ্দিনের মৃত্যু হয়। তিনি শ্বাসকষ্ট ও জ্বরসহ একাধিক করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন।
রবিউজ্জামান বাবু জানান, মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা লাশ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। মৃতের স্ত্রী, মেয়ে, জামাতা কেউ লাশ দাফন করতে রাজি হননি। আত্মীয় স্বজনরাও এগিয়ে আসেনি। এ অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দাফনের সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। কবর খোঁড়া, জানাজা ও দাফন কাজে অংশ নেন ইসলামী আন্দোলন সোনাগাজীর শাখার দাফন টিমের সদস্যরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দাফনের জন্য পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংগ্রহ করা হয়েছে। থানা থেকে লাশের জন্য ব্যাগ আনা হয়। রাত ৩টা নাগাদ জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফেরদোস হোসেন রাসেল ও সমাজপতি জাবেদ হোসেন বলেন, ‘শাহাব উদ্দিনের মৃত্যুর খবর শুনে আমরা যখন ওই বাড়িতে যায়, তখন বসত ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো ছিল। দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি শাহাব উদ্দিনের লাশ পড়ে আছে। এসময় ডাকাডাকি করেও পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। মৃত ব্যক্তির প্রতি পরিবারের এমন অমানবিক আচরণ কখনও দেখিনি।’
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোনাগাজীতে গত ১০ দিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে সোনাগাজীর চান্দলা ও আডকাইম গ্রামে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে করোনা পরীক্ষায় একজনের পজিটিভ আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।