সৌদি দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮ পরিবারে কান্না
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।
সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব (শ্রম) আরিফুজ্জামান এ তথ্য জানান।
এদিকে বাংলাদেশে এসব প্রবাসীদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের বিলাপে ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। অকস্মাৎ এমন ঘটনায় স্বজনদের কোনোভাবেই সান্ত্বনা জানাতে পারছেন না এলাকাবাসী।
কারও বাবা, কারও মা, কারও স্ত্রী-সন্তান শেষবারের মতো একনজর দেখতে চাইছেন তাদের প্রিয়জনকে। তাই তারা লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়েছেন। স্বজনরা জানান, নিহতদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তান। পরিবারে সচ্ছলতা আনার লক্ষ্যে তারা সৌদি আরব পাড়ি জমান।
এদিকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। তিনি জানান, সৌদি আরবের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট এবং শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার সংবাদ শোনার পর থেকেই তাদের পাশে থেকে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন।
তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারি বিধি অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। নিহতরা হলেন-নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর শাফাতুল ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যশোরের রনি, কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন। এ ছাড়া খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন ও সাকিবের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।