আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি সৌদি তেল শোধনাগারে ভয়াবহ ড্রোন হামলার পর নিরাপত্তার অজুহাতে সেখানে ২০০ সেনা এবং পেট্রিয়ট মিশাইল পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলার জন্য প্রথম থেকেই ইরানকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়ে চলেছে ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, সৌদি আরবের নিরাপত্তার জন্য সেখানে ২শ মার্কিন সেনা এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য প্রেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে সৌদি আরবে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেমের জন্য ব্যবহৃত চারটি সেন্টিনেল রাডারও পাঠানো হবে।
মুখপাত্র জোনাথন হফম্যান আরো বলেন, এইসব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র মোতায়েন করার ফলে সৌদি আরবের সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোগত বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো জোরদার হবে। তবে কবে নাগাদ এসব মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা হবে তার কোনো নির্দিষ্ট তারিখ জানাননি তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার-ই মধ্যপ্রাচ্যে আরো বেশি মার্কিন সেনা পাঠিয়ে সৌদি আরবকে রক্ষা করার এক পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছিলেন।
এ সম্পর্কে তখন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সৌদি আরবে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এসব সেনা মোতায়েন করা হবে।
তবে সেখানে কি পরিমাণ সেনা পাঠানো হবে সে বিষয়ে তখনও কিছু জানায়নি ওয়াশিংটন। এইসব মার্কিন সেনা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মোতায়েন করা হবে বলে কেবল জানানো হয়েছিলো। তেল স্থাপণায় হামলাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ উত্তেজনা ছড়িয়ে পরার প্রেক্ষাপটেই সৌদি আরবে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (গত ১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর রিয়াদের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে এর প্রতিশোধ নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হাজির করা হয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো-ও ইরানকে দায়ী করছে।
তবে শুরু থেকেই সৌদি তেল শোধনাগারে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইরান সরকার। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলা দায় স্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, তারা সৌদি তেল শোধনাগারে আরো হামলার হুমকিও দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।