সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) আগামী সপ্তাহের হোয়াইট হাউস সফরকে শুধু আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়, বরং সৌদি আরব ও যুবরাজকে সম্মান জানানোর একটি বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন। অনলাইন সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফরটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ওয়ার্কিং ভিজিট’ হলেও হোয়াইট হাউস তাকে রাষ্ট্রীয় সফরের মতো মর্যাদায় গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার যুবরাজের দিনের শুরু হবে সাউথ লনে আগমন-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এরপর সাউথ পোর্টিকোতে তাঁকে দেওয়া হবে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা। পরবর্তী সময়ে ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও যুবরাজের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পর ক্যাবিনেট রুমে আয়োজিত এক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে একাধিক অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পাদিত হবে। এরপর মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন রয়েছে।
সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের পরিকল্পনায় একটি বিশেষ নৈশভোজ হবে যুবরাজের সম্মানে।
বুধবার যুবরাজ অংশ নেবেন কেনেডি সেন্টারে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন–সৌদি বিজনেস কাউন্সিলের বৈঠকে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ট্রাম্প সেখানে যোগ দেবেন কিনা তা নিশ্চিত না হলেও তার উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
গালফ দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জোরদার করা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম অগ্রাধিকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফরেই তিনি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফর করেছিলেন। রিয়াদ সফরে তাকে রয়্যাল সৌদি এয়ার ফোর্সের এফ-১৫ জেট এসকর্ট করেছিল এবং তিনি ইউনেস্কো–স্বীকৃত ঐতিহ্যবাহী স্থানে রাজকীয় ভোজেও অংশ নেন। সে সময় যুবরাজ মোহাম্মদকে ‘অসাধারণ মানুষ’ এবং ‘আমার বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



