স্পোর্টস ডেস্ক : টস জিতে রোহিত বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠালেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
রোহিতের মতে, উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। ম্যাচের পরের ভাগেও উইকেট একই থাকবে, রান তাড়ায় সমস্যা হবে না।
টস জিতলে বাংলাদেশও আগে বোলিং বেছে নিত বলে জানালেন মাহমুদউল্লাহ। তবে আগে ব্যাট করতেও তার আপত্তি নেই, গড়তে চান বড় স্কোর।
ফিরলেন সৌম্যও
মুশফিককে হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই আরেকটি বড় ধাক্কা। এবার ফিরলেন সৌম্য সরকার। এক ওভারেই বড় দুটি শিকার ধরলেন যুজবেন্দ্র চেহেল।
সৌম্যকে বেরিয়ে আসতে দেখেই হয়ত স্টাম্পের বাইরে গুগলি করেছিলেন চেহেল। বল পিচ করে আরও বেরিয়ে যায় বাঁহাতি সৌম্যর ব্যাটের বেশ দূর দিয়ে। কিপার পান্ত বল ধরে উড়িয়ে দেন বেলস।
এবারও তৃতীয় আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখে নেন, পান্ত স্টাম্পের আগে থেকেই বল ধরেছেন কিনা। তবে এবার ভুল করেননি ভারতীয় কিপার। তৃতীয় আম্পায়ার অবশ্য ভুল করে শুরুতে ‘নট আউট’ ঘোষনা দিয়েছিলেন। পরে আবার জানিয়ে দেন ‘আউট।’
দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য বিদায় নিলেন ২০ বলে ৩০ রান করে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান।
প্রিয় শটে মুশফিকের বিদায়
সুইপ ও স্লগ সুইপে ক্যারিয়ারে অনেক রান করেছেন মুশফিক। এই শটে আউটও হয়েছেন অনেকবার। আরও একবার প্রিয় শট তাকে ড্রেসিং রুমে ফিরিয়ে নিল দ্রুত।
মুশফিকের স্লগ সুইপের জন্যই লেগ সাইডে তিন জন ফিল্ডার রেখেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। যুজবেন্দ্র চেহেল বোলিং করলেন ফিল্ডিং অনুযায়ীই। মুশফিক তো এই শট খেলবেনই। টাইমিং হলো না ঠিকমতো। বল গেল সোজা ফিল্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়ার হাতে।
বাংলাদেশের আগের ম্যাচের নায়ক ফিরে গেলেন ৬ বলে ৪ রানে। বাংলাদেশ ১২.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৭।
সুন্দর ফেরালেন নাঈমকে
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর থেকে ঠিক হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না মোহাম্মদ নাঈম শেখ। একটু অধৈর্য্য হয়ে উঠছিলেন। খেসারত দিলেন সেটিরই।
ওয়াশিংটন সুন্দরের স্পেলের শেষ ওভারে স্লগ সুইপ খেললেন নাঈম। কিন্তু শটে ছিল না যথেষ্ট জোর। মিড উইকেট সীমানার বেশ ভেতরেই সহজ ক্যাচ নিলেন শ্রেয়াস আইয়ার।
পান্তের প্রায়শ্চিত্ত
নিজের ভুলে লিটন দাসকে জীবন দিলেও রিশাভ পান্ত পুষিয়ে দিলেন দ্রুতই। দারুণ ক্ষিপ্রতায় ফিল্ডিংয়ে লিটনকেই ফিরিয়ে ভাঙলেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি।
চেহেলের গুগলি পড়তে পারেননি লিটন। বল তার প্যাডে লেগে ছিল পিচের কাছেই। কিন্তু লিটন হয়তো বুঝতে পারেননি। ছুটতে থাকেন রান নিতে। পান্ত দ্রুত ছুটে বল কুড়িয়ে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করে দেন লিটনকে।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রান আউট না হলেও ভারত রিভিউ নিলে এলবিডব্লিউ হতেন লিটন।
আবারও জীবন পেলেন লিটন
আগের ওভারে কোনো রকমে রক্ষা পাওয়ার রেশ থাকতে থাকতেই আরেকবার জীবন পেলেন লিটন দাস। ওয়াশিংটন সুন্দরকে স্লগ সুইপ খেলে বল তুলে দিয়েছিলেন আকাশে। ছুটে এসেছিলেন তিন জন ফিল্ডার। কিন্তু ক্যাচ নিতে পারেননি কেউ। লিটনের রান তখন ২৬।
বাংলাদেশের ভালো শুরু
পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। জীবন পাওয়ার পরের দুই বলেই চেহলকে বাউন্ডারি মারলেন লিটন। ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৫৪।
নাঈম তখন খেলছেন ২০ বলে ২৭ রানে, ১৭ বলে ২৬ লিটন।
বেঁচে গেলেন লিটন
লেগ স্পিন আক্রমণে আসতেই উইকেটের উপলক্ষ্য তৈরি করেছিল ভারত। কিন্তু রিশাভ পান্তের কিপিং ব্যর্থতায় অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গেলেন লিটন দাস।
যুজবেন্দ্র চেহেলের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে অনেকটা বেরিয়ে এসে তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়েছিলেন লিটন। ব্যাট নাগাল পায়নি বলের। স্টাম্পিংয়ের অনায়াস সুযোগ। বল ধরে চকিতে বেলস ফেলেও দেন কিপার পান্ত। লিটন হাঁটা দিয়েছিলেন ড্রেসিং রুমের দিকে। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ধরার সময় পান্তের গ্লাভসের সামান্য অংশ ছিল স্টাম্পের সামনে!
আত্মবিশ্বাসী শুরু
দিপক চাহারের করা ম্যাচের প্রথম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মারেন লিটন দাস। পরের ওভারে খলিল আহমেদের প্রথম তিন বলেই বাউন্ডারি আসে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট থেকে।
২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ২০।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।