আমাদের উপমহাদেশে প্রাচীনকাল থেকে সৌন্দর্যচর্চার অংশ হয়ে থাকা এই উপাদানটি আজও তার স্থান ধরে রেখেছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়ান বিউটি রেজিমের স্কিনকেয়ারে নতুন করে ভাইরাল হয়ে উঠেছে গোলাপজল। তার কারণ গোলাপজল নিরাপদ ও সর্বজনীন। চলুন জেনে নিই কীভাবে এই সাধারণ কিন্তু জাদুকরী উপাদান নতুন বছরে আপনার ত্বকের যত্নে অবাক করা পরিবর্তন আনতে পারে। গোলাপজলের যত জাদুকরী উপকারিতাগোলাপজল হলো সেই বিরল এবং বহুমুখী উপাদান, যা সৌন্দর্যচর্চায় বিভিন্ন সংস্কৃতিতে যুগের পর যুগ টিকে আছে। গোলাপজলের প্রধান উপকারিতাগুলো হলো:
চুল ও স্ক্যাল্পের যত্নে কার্যকর
শুধু ত্বক নয়, গোলাপজল আপনার চুলের জন্যও উপকারী। এটি মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পকে হাইড্রেট করে আর চুলকানি কমায়। এছাড়াও, এটি চুলের প্রাকৃতিক পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং চুলকে ঝলমলে করে তুলে।
গোলাপজল সব ধরনের ত্বকের জন্য এক আদর্শ সমাধান
গোলাপজলের একটি বড় সুবিধা হলো এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী। গোলাপজল আপনার ত্বকের যা দরকার তা-ই দেয়, তা সে যে ধরনের ত্বকই হোক না কেন।
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ ও বহুমুখী ব্যবহার
আপনার হাতে ডিওডোরেন্ট নেই? গোলাপজল কিন্তু একটি জরুরি বিকল্প হতে পারে। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখে। নিয়মিত ব্যবহারে অ্যাকনে কমে আসে এজন্য।
পোরস বা রোমকূপ টাইট করে
আপনার ত্বক কি ওপেন পোরস বা বড় ছিদ্রের রোমকূপের ফলে প্রায়ই তৈলাক্ত হয়ে যায়? গোলাপজলের মৃদু অ্যাস্ট্রিনজেন্ট গুণ পোরস বা রোমকূপ সংকুচিত করে এবং ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
তাৎক্ষণিক আর্দ্রতা প্রদান করে
পানিতে দ্রবীভূত গোলাপজলের একটি স্প্রে করুন চেহারায়। আর সঙ্গে সঙ্গে আপনি পেয়ে যাবেন ইন্সট্যান্ট হাইড্রেশন! দিনের যেকোনো সময় বা ক্লিনিজিং করার পর এটি ব্যবহার করুন এবং অনুভব করুন ত্বকের শীতল অনুভব।
ত্বকের জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাব কমায়
এই বিরূপ আবহাওয়া আর দূষণের কবলে পড়ে আপনার ত্বক কি কখনও শুষ্ক, লালচে বা জ্বালাপোড়ার শিকার হয়েছে? গোলাপজলের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য এসব সমস্যা সহজেই প্রশমিত করে। এটি ত্বকে এক ধরণের আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।