জুমবাংলা ডেস্ক: নরসিংদীর রায়পুরায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল হক চৌধুরী শাকিলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শাকিলসহ দু’জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার দুপুরে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। এ ছাড়া নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাত বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
রায়পুরার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির সঙ্গে ছয় মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের। বিয়ের প্রলোভনে তাকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় স্থানীয় রাজু মিলনায়তনে আসতে বলে শাকিল। মেয়েটি সেখানে এলে মিলনায়তনের একটি কক্ষে নিয়ে সে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে শাকিল পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে রায়পুরা থানা পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন বলেন, শাকিলের বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ পেয়েছি।
নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসিবুল হাসান মিন্টু জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে শাকিলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়পুরা থানার ওসি মহসিনুল কাদের বলেন, শাকিলসহ দু’জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ১ নম্বর চরজব্বার ইউনিয়নের একটি গ্রামে গত বুধবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার হয় সাত বছরের এক শিশু। স্থানীয় চরহাসান গ্রামের দায়মুদ্দি কাজীর ছেলে আবদুল হক কাজীর (৫৮) বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। ঘটনাটি মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে কালক্ষেপণ করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ফজিলাতুন নেসার বিরুদ্ধে। বিচার না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুশ্রেণির ওই মেয়েটি পাশের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে বুধবার দুপুরে খেলাধুলা করছিল। এ সময় আবদুল হক কাজী তাকে বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকি দেয়।
চরজব্বার ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, নারী ইউপি সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাটি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা বলে শিশুটির পরিবারকে মামলা করতে দেননি।
চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম খলিল বলেন, শিশুটি বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।