জুমবাংলা ডেস্ক: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টাকারী প্রেমিক মনির হোসেন (১৭) মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অফিসিয়াল পত্র এখনও পাইনি।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া সংবাদিকদের বলেন, আহত মনির হোসেন ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা গেছে।
মনিরের খালা রোজিনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। মনিরের মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ বাড়িতে নেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বাসা থেকে ছুমাইয়া কোচিংয়ে যাওয়ার পথে তাকে ডেকে নিয়ে মনির তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর মনির নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্কুলছাত্রীর পাশ থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
টাঙ্গাইলের র্যাব সদস্যরা ছায়া তদন্ত করে দিন শেষে বিষয়টির রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন। এরপর মনিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢামেক হাসপাতালে র্যাব হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নিহত ছুমাইয়া আক্তার উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তারা এলেঙ্গা কলেজ মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। মৃত মনির এলেঙ্গা পৌর এলাকার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে এখনো অফিসিয়ালি আমাকে কোনো পত্র দেওয়া হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।