জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের স্কুল পড়ুয়া আবুল হোসেন মঙ্গলবার রাতে নিজের কাজ শেষে ফেরার সময় টর্চলাইটের আলোয় দেখতে পায়, ঈদগাহ টিলা এলাকায় রেলপথের একটি পাত ভেঙে ফাঁক হয়ে আছে। রেলপথের একটি পাত দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ট্রেন চলাচল করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কথা ভেবে সে গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানায়।
এরপর শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক আহমদ শমশেরনগর স্টেশনমাস্টারকে এবং রেলের গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। তারা দ্রুত ভাঙা রেলপাত সরিয়ে নতুন একটি পাত প্রতিস্থাপন করেন।
এর ফলে রক্ষা পায় মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের পাঁচ শতাধিক যাত্রী।
আবুল হোসেনর বাড়ি শমশেরনগর ইউনিয়নের ঈদগাহ টিলায়। সে কমলগঞ্জের কামুদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
শমশেরনগর স্টেশনমাস্টার কবির আহমদ বুধবার সকালে বলেন, আবুল হোসেনের বুদ্ধিমত্তায় সম্ভাব্য রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেল।
তিনি খবর শুনে শ্রীমঙ্গলে রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেনকে জানান। মনির হোসেন তার কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙা রেলপাত সরিয়ে নতুন একটি পাত স্থাপন করেন। এতে আধা ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।