স্ক্রিন-টাইমে আসক্তি ছড়িয়ে গেছে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মধ্যে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, এ আসক্তি থাবা বসিয়েছে শিশু-কিশোরদের অভ্যাসেও। মোবাইল আসক্তির প্রভাব পড়ছে তাদের দৈনন্দিন জীবনে। বিভিন্ন মানসিক সমস্যার পাশাপাশি মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনছে নানা বিপর্যয়।
ফোন ব্যবহারের সময় নির্ধারণ
স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করুন। দিনে কতবার স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন তা ঠিক করে নিন। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন দিনে ২০ বারের বেশি স্মার্টফোন দেখবেন না। এ ছাড়া খাওয়া ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না।
স্মার্টফোন নিয়ে বিছানায় নয়
ঘুমানোর আগে ফোন বন্ধ করে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। ঘুমানোর সময় ফোন বন্ধ করলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই ভেবে ফোন বন্ধ করে দিন। ঘুম কম হওয়া বা অনিদ্রার অন্যতম একটি কারণ স্মার্টফোন আসক্তি। অনেকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য স্মার্টফোনে অ্যালার্ম সেট করেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্যবহারকারীরা ঘুম থেকে উঠে অ্যালার্ম বন্ধ করে ফোনের নোটিফিকেশন চেক করা শুরু করে দেন। এতে অনেক সময় কেটে যায়। এমন সমস্যা এড়াতে স্মার্টফোনে অ্যালার্মের বদলে অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।
উপহার হিসেবে স্মার্ট ফোন নয়
১০ বছর বয়সি সন্তানের হাতে উপহার হিসেবে স্মার্টফোন তুলে দিচ্ছেন বিষয়টা বেশ দৃষ্টিনন্দন। বন্ধুবান্ধবদের পাল্লায় পড়ে সন্তান আপনার কাছে চাইতেই পারে স্মার্টফোন। তাই বলে সন্তানের এইসকল দাবী মিটানো ঠিক নয়। সন্তানকে বকাঝকা না করে বোঝান যে, সে যতদিন পর্যন্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারে পটিয়শি হয়ে না হয়ে উঠবে ততদিন পর্যন্ত তাকে স্মার্টফোন দেয়া হবে না।
সাধারণ জায়গায় কম্পিউটার রাখা
ঘরের সবচেয়ে সাধারণ অংশে কম্পিউটার রাখুন যেন, সন্তান কখন এবং কীভাবে তা ব্যবহার করছে সেটা সবার চোখে পড়ে। নিশ্চিত করুন যে, আপনার সন্তান সবার সামনে বসে ডিভাইস ব্যবহার করছে, একা বা গোপনে নয়।
আড্ডায় স্মার্টফোন পরিহার
অনেকেই পারিবারিক কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার মাঝেও স্মার্টফোনে ব্যস্ত থাকেন। এর ফলে পারিবারিক বন্ধন হালকা হয়ে যায়। তাই এসব পরিস্থিতিতে স্মার্টফোন এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
মেডিটেশন
দিনে অন্তত ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন বা অন্য কোনো মেন্টাল রিল্যাক্সেশন এক্সারসাইজের জন্য নির্ধারিত রাখুন। শুধু মোবাইল নেশা নয়, যে কোনো ক্ষেত্রেই নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার এটি একটি কার্যকর উপায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।