স্টকহোম সিনড্রোম: কেন নারীরা ক্রিমিনালের প্রেমে পড়েন?

স্টকহোম সিনড্রোম

১৯৭৩ সাল। ২৩ আগস্ট। একদল লোক ব্যাংকে ঢুকে বন্দুক চালিয়ে ঘোষণা করল দা পার্টি হ্যাজ জাস্ট বিগান। সুইডেনের স্টকহমের এক ব্যাংকে ১৩১ ঘন্টার জন্য জিম্মি হলেন তিন নারী। ওই সময় এমন এক ঘটনা ঘটে যা থেকে স্টকহোম সিনড্রোম সম্পর্কে মনোবিজ্ঞান জগতে অনেক চর্চা হতে থাকে।

স্টকহোম সিনড্রোম
অপহৃত হয়ে যাওয়ার পরেও কিছু নারী সবদিক থেকে সমর্থন করে গেছেন অপহরণকারী ব্যক্তিদের যা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। এমনকি এর পরও এমন কিছু ঘটনা পাওয়া যায় যেখানে যারা কিডন্যাপিং করেছেন তাদের প্রতি কোনো ঘৃণা লক্ষ্য করা যায় না।

২০০২ সালের ৫ জুন। ব্র্যাড ডেবিড মিশেল নামের একজন ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে তুলে নিয়ে যায় এবং জোড় করে বিয়ে করে। দিনের পর দিন ধরে তাকে আটকে রাখে। এরপরেও মেয়েটি তার সাথেই থাকে এবং তাকে ছেড়ে কোথাও যায় না।

এ ধরনের ঘটনা আরও অনেক রয়েছে যা সিনেমার কাহিনীকে হার মানায়। এখানে দেখা যায় যে, নারীরা যারা অপরাধ করেন তাদের ঘৃণা করার বদলে ভালোবেসে ফেলেন। এমনকি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ করেন না।  অপহরণ করার পরেও যখন ছেড়ে দেওয়া হয় তখন কিডন্যাপারদের ছেড়ে আসতে চান না তারা।

তারা একে অপরের সাথে মানসিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। বন্দীর সাথে মানবিক আচরণ করলে অনেক সময় এখানে মায়ার জন্ম হয়। অপরাধের প্রতি ভিকটিমের মানসিক বন্ধন তৈরি হওয়ার নাম হচ্ছে স্টকহোম সিনড্রোম। মনোবিজ্ঞানী এবং ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি নিয়ে যারা বিশেষজ্ঞ তারা এ বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।