স্তন ক্যানসার নিরাময়যোগ্য। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগনির্ণয় ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই রোগের জটিলতাগুলো বহুলাংশে কমানো সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে শুধু জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমেও স্তন ক্যানসারের অনেক জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাথমিক স্তরে রোগনির্ণয় করা সম্ভব হলে জীবনধারা পরিবর্তন ও সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমানো সম্ভব। সে ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার নিরাময়ে চিকিৎসার পদ্ধতিগুলো জানার পাশাপাশি জীবনধারায় কী কী পরিবর্তন আনতে হবে, সে বিষয়েও হতে হবে সচেতন।
কারকিউমিন, গালেটস, লাইকোপিনের মতো কোনো কোনো শাকসবজি থেকে প্রাপ্ত কিছু ফাইটো কনস্টিটিউয়েন্ট উদ্ভিদ স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ক্যানসার কোষগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়াতে সাইটোকাইনসের ব্যবহার করার নাম হলো ইমিউনোমডুলেশন।
নিউক্লিক অ্যাসিড টেকনোলজি হচ্ছে ক্যানসারের জন্য দায়ী জিনগুলোর ওপর বিশেষ ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাময় করা। এটি একটি এন্ডোক্রিন্যাল চিকিৎসা, যা ক্যানসারের প্রকোপ বাড়াতে পারে এমন হরমোনগুলোর ভারসাম্য রাখে বা আটকে দেয়।
অস্ত্রোপচারের পর ক্যানসারযুক্ত কোষগুলো ধ্বংস করতে রেডিয়েশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। নানা রকম ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ মৌখিকভাবে বা ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। স্তন ক্যানসারের তীব্রতা ও পর্যায়ের ওপর চিকিৎসার স্থায়ীত্বকাল নির্ভর করে।
এই প্রক্রিয়ায় ক্যানসার কোষগুলোর বিস্তার এড়াতে শুধু আক্রান্ত অংশ বাদ দেওয়া হয়। অর্থাৎ ক্যানসারের বৃদ্ধি ঠেকাতে স্তনের আক্রান্ত এলাকা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয়। স্তন ক্যানসারের প্রচলিত চিকিৎসার মধ্যে আছে ব্রেস্ট কনজার্ভেশন সার্জারি, রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি ও হরমোনাল থেরাপি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।