জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেরহাটের কচুয়ায় স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও ফুঁসলিয়ে আয়না বেগম (১৭) নামে এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একপর্যায়ে হত্যার দায়ে আমজাদ খান নামে এক যুবককে আদালত মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় ।
মঙ্গলবার বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তপন রায় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আমজাদ খান কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন ওরফে ধলু খানের ছেলে। নিহত আয়না বেগম কচুয়া উপজেলার গাবরখালী এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের বাবলু নামে এক ব্যক্তির সুপারি বাগান থেকে অজ্ঞাত নামা এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
একইদিন কচুয়া থানায় এ বিষয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন কচুয়া থানার এএসআই মিয়া রব হোসেন। অজ্ঞাতনামা এই কিশোরীর পরিচয় ও হত্যাকারীকে শনাক্তে কাজ শুরু করে পুলিশ। ওই বছরের শেষের দিকে পুলিশ আমজাদ খানকে আটক করে। ২০১৩ সালের ০৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে আমজাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদ জানায়, অজ্ঞাতনামা ওই কিশোরীর নাম আয়না বেগম। মোবাইল ফোনে আয়নার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে বিয়ে করার শর্তে আমজাদ খান আয়নার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
একপর্যায়ে আয়না আমজাদকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বউ বাচ্চা থাকায় আমজাদ বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে নিজের ক্ষতি হবে ভেবে সে ওই কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও পুলিশের চার্জশিটের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আমজাদকে মৃত্যুদন্ড দেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি সীতা রানী দেবনাথ। আসামিপক্ষের আইনজীবি ছিলেন বিদান চন্দ্র রায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।