জুমবাংলা ডেস্ক: সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের পৃথক আইনগুলোর মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দূর করতে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ (১৭ অক্টোবর) কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার জনপ্রতিনিধি, সরকারি-কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনসাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত সভায় তিনি এই তথ্য জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের আইনগুলোকে সমন্বয় ও সংশোধন করে নতুন করে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।’
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী, যুগোপযোগী এবং জনকল্যাণমুখী করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করার জন্য নতুন এই কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বির্নিমানে শুধু রাজধানী কিংবা বিভাগীয় শহর নয় জেলা-উপজেলা পর্যায়েও উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘রুপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে যে পথ নকশা প্রণয়ন করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাদের নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে হবে।’
কুমিল্লা শহরে সুপেয় পানি সরবরাহ করার জন্য একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘খুব শিগগিরই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যাচ্ছে সরকার।’
কুমিল্লা জেলায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ইনসিনারেশন প্লান্ট স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি নির্দেশনা দেন।
এসময় কুমিল্লা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি দৃষ্টিনন্দন শহরে রুপান্তরিত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শহরের সকল সুযোগ সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ ধারণা প্রবর্তন করেছেন জানিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, এটি বাস্তবায়িত হলে চিকিৎসা, শিক্ষাসহ আধুনিক সব সুবিধার জন্য শহরে আসতে হবে না। মানুষ সহজেই হাতের নাগালে এসব সুবিধা পাবে।
জেলা প্রশাসকের আবুল ফজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এতে স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কুমিল্লা ক্লাব প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধার কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী। এসময় দেয়া বক্তব্যে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, কাউকে ডেকে এনে বেতার-টেলিভিশনে ঘোষণা দেওয়ালেই স্বাধীনতার ঘোষক বলা যায় না।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সোনার মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে এই সোনার মানুষ তথা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।