আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শরীর জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম হয়েছে তাঁদের। এভাবেই কেটে গেছে ১৯টি বছর। জীবিকার তাগিদে চাকরির জন্য মুখিয়ে ছিলেন তাঁরা। এবার তাঁদের স্বপ্নের চাকরি মিলেছে ভারতের পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডে (পিএসপিসিএল)।
জানা গেছে, ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। একজনের কাজ করলেও তাঁদের দুজনকে বেতন দেওয়া হবে।
তাঁদের নাম সোহনা সিং ও মোহনা সিং। দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে বেড়ে ওঠার পর তাঁরা ইলেকট্রিশিয়ান সুপারভাইজার নিযুক্ত হলেন।
সোহনা সিং বলেন, ‘এটা ছিল স্বপ্নের চাকরি। আমাদের মেধার মূল্যায়ন করার জন্য পাঞ্জাব সরকারকে ধন্যবাদ।’
জানা গেছে, ইলেকট্রনিক্সের ওপর ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেছেন সোহনা সিং। চাকরি হওয়ার কারণে তাঁরা এখন মাসে ১০ হাজার রুপি করে বেতন পাবেন। যদিও চাকরিটি হয়েছে সোহনা সিংয়ের নামে। তাঁরা কন্ট্রোলরুমে থেকে কাজ করবেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে তাঁদের জন্ম হয়েছে ২০০৩ সালে। তাঁদের হৃৎপিণ্ড দুটি, দুই জোড়া হাত, কিডনি এবং মেরুদণ্ডের কর্ড আছে। তবে একটি লিভার, গলব্লাডার, প্লীহা এবং এক জোড়া পা রয়েছে।
চিকিৎসক ওই সময়ই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের আলাদা করা যাবে না। এটা করতে গেলে একজনের মৃত্যু হবে। এতে অন্যজনেরও গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
মাত্র দুই মাস বয়সে তাঁদের বাবা-মা তাঁদের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে পাঞ্জাবের অমৃতসরের উপকণ্ঠে পিঙ্গলওয়ারা চ্যারিটেবল সোসাইটি তাঁদের নিয়ে গিয়েছিল।
একপর্যায়ে তাঁদের শিক্ষক বুঝতে পারেন, তাঁরা সহজেই ইলেকট্রনিক্সের কাজ করতে পারেন। একজন শিক্ষক বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের যে কোনো ছোটখাটো সমস্যা ওই ছেলে দুটোই ঠিক করতেন।
স্কুলের পাঠ চুকিয়ে তাঁরা ইলেকট্রনিক্সের ওপর ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। এবার তো চাকরিই জুটে গেল। মাত্র দুই মাস বয়সে তাঁদের বাবা-মা তাঁদের ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং পাঞ্জাবের অমৃতসরের উপকণ্ঠে পিঙ্গলওয়ারা চ্যারিটেবল সোসাইটি তাঁদের নিয়ে গিয়েছিল।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট আই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।