জুমবাংলা ডেস্ক : টানা দরপতনের ধাক্কা সামলাচ্ছে স্বর্ণ বাদে বেশির ভাগ ধাতু। এ মন্দা পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে বজায় থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। চলতি বছর জ্বালানি তেলের গড় দাম আগের বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশের বেশি কমতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংস্থাটি। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের মতে, বছর শেষে ব্যবহারিক ধাতুর বাজারে দরপতন ১৩ শতাংশে ঠেকতে পারে। খবর রয়টার্স ও মেটাল বুলেটিন।
বৈশ্বিক পণ্যবাজারে নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ব্যবহারিক ধাতুর বাজারে ১৩ শতাংশ দরপতনের সম্ভাবনা দেখছে বিশ্বব্যাংক। তবে আপত্কালীন নিরাপদ বিনিয়োগ উৎস হিসেবে পরিচিত স্বর্ণের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিপণ্যের মূল্য পরিস্থিতি তুলনামূলক অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে মহামারীর কারণে লকডাউন চলমান থাকায় সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হয়ে কোনো কোনো অঞ্চলের মানুষ খাদ্য সংকটে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাখতার দিয়োপ বলেন, বৈশ্বিক পণ্যবাজারের সম্ভাব্য টালমাটাল অবস্থা উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোকে সংকটে ফেলতে পারে। বিশেষত জ্বালানি তেলের রেকর্ড দরপতন মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার রফতানিকারক দেশগুলোর অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ তৈরি করবে। এসব দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা আগের তুলনায় ভঙ্গুর হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্ভাব্য এ সংকটময় পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার জন্য এখন থেকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এজন্য জ্বালানি খাতে বিদ্যমান ভর্তুকি ব্যবস্থা সংস্কার, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ বাড়ানো, নিজস্ব শিল্প রক্ষায় গৃহীত সংরক্ষণবাদী নীতি সংস্কারসহ কয়েকটি কার্যকর উপায়ের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।