জুমবাংলা ডেস্ক : গরুর খামারি রত্না আক্তার। তার খামারে একটি ষাড় গরু রয়েছে, যেটির নাম রেখেছেন ‘মণ্ডল’। দেড় টন ওজনের এই মণ্ডলের দাম হেকেছেন ১৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে রত্নার স্বামীর নাম আবু জাফর মণ্ডল। স্বামীর নামের সঙ্গে মিল রেখে গরুর নাম রাখায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
রত্না বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে বাসিন্দা। তার বাড়িতেই তিনি এনএটিপি- প্রকল্পের খামারটি করেছেন। বর্তমানে তার খামারে প্রায় ২০টি গরু রয়েছে। গরুগুলোর মধ্যে মণ্ডলই সবচেয়ে বড়।
রত্নার স্বামী একজন পল্লী প্রাণী চিকিৎসক। স্বামী ও স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সহযোগিতায় গরু পালন ও মোটাতাজা করছেন রত্না। এছাড়া তার খামারে তিনজন কর্মচারীও রেখেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, রত্না তার স্বামীর নামে খামারের সবচাইতে বড় গরুটার নাম রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
কথা হয় রত্নার সঙ্গে। তিনি বলেন, তার স্বামীর সহযোগিতায় গরু পালন করছেন তিনি। প্রতি বছর কোরবানি ঈদের আগে খামারের গরু বিক্রি করেন। এতে অনেক লাভ হয়। এবার ঈদে বিক্রির জন্য বড় দুটি ষাঁড় পালন করেছেন। অন্যটির নাম ‘সুন্দর’। ১ টন ওজনের সুন্দরের দাম ১০ লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, আট বছর আগে গরু পালন শুরু করেছিলাম। বর্তমানে আমার খামারে ২০টি গরু রয়েছে। আমি চেষ্টা করছি ভালো কিছু করার।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাফরিন রহমান বলেন, খামারটি প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। তাই প্রতি নিয়মিত আমাদের ভ্যাটেনারি সার্জন খামার পরিদর্শন করে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন।
আমার জানামতে বগুড়া জেলায় মণ্ডলের মতো বড় ও বেশি ওজনের ষাঁড় কোথাও নেই। রত্না ষাঁড়টি বিক্রি নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। অনলাইনের মাধ্যমে তার গরু বিক্রির পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।