জুমবাংলা ডেস্ক : স্বামী এখনো জীবিত। তারপরও মৃত দেখিয়ে ১৭ বছর ধরে বিধবা ভাতা উত্তোলন করছেন মনজিলা বেওয়া নামে এক নারী। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমাজকর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, চেয়ারম্যান ও সমাজকল্যাণ অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পশ্চিমপাড়া (দোলাপাড়া) এলাকার মনজিলা বেওয়া অবিবাহিত থাকাবস্থায় ২০০৪ সাল থেকে বিধবাভাতা উত্তোলন করছেন। সে সময় তার ভাই মো. আইয়ুব আলী ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হলে তিনি সমাজসেবার ইউনিয়ন সমাজকর্মী ফরিদা বেগমের মাধ্যমে বিধবাভাতার ওই বইটি বানিয়ে দেন। যার বই নং-১০৫, হিসাব নং-২২৩, বিআইএন নং-০২৭৩০০১৯৭৬।
তিনি ২০০৪ সালের ১ জুলাই থেকে নিয়মিত ভাতা উত্তোলন করছেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে তার স্বামী কালা মিয়া এলাকার চৌমুহনী বাজারে একটি হোটেলে মেসিয়ার হিসেবে কর্মরত।
ইউনিয়ন সমাজকর্মী ফরিদা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা ইত্যাদি দেওয়া হয়। এছাড়া ইউনিয়নে প্রায় ৯ থেকে ১২ হাজার ভাতাভোগী হওয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত কিংবা খোঁজ নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে এ ধরনের ভুল হতেই পারে। তবে দীর্ঘদিনেও এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি।’ সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি সদ্য এখানে যোগদান করেছি। তাই এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বইটি বাতিল করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।