জুমবাংলা ডেস্ক: যশোরের চৌগাছা উপজেলায় পাঁচজন ডাক্তার একটি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দল গঠন করেছে যারা এই এলাকার সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে এলাকাগুলোতে চলাচলের বাধা, বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ এমন অভিযোগও আছে।
এসব কথা ভেবে যশোরে এগিয়ে আসেন পাঁচজন তরুণ চিকিৎসক। শুরুতে ফেসবুকে জানানো হয় যে তারা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাবেন, টেলিফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সরাসরি ব্যবস্থা নেবেন।
যেহেতু একটি উপজেলায় ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সবার জন্য সম্ভব নয় তাই শুরুতে রোগীর সংখ্যা ছিল কম। কিন্তু এখন তারা বলছেন প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী যোগাযোগ করছেন।
চিকিৎসার প্রক্রিয়া কী? কী ধরণের রোগী? চিকিৎসকদের মধ্যে একজন আহমেদ রেজা সানী বলছেন, বৈশ্বিক এই মহামারির প্রকোপ বাড়ার পর এলাকার সবার মধ্যে স্বাস্থ্য নিয়ে ভীতি দেখা গেছে। অনেকেই খুব সাধারণ রোগেও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সেই দুশ্চিন্তা কমাতেই এই উদ্যোগ নেয়া।
তারা কোভিড-১৯ থাকতে পারে এমন রোগীদের আলাদাভাবে দেখভাল করছেন। এজন্য এলাকার উপজেলা থানা কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাথে যোগাযোগ করে উপসর্গ থাকা রোগীদের তালিকা বিনিময় করছে এই দলটি।
দলটি জানায়, আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম একদম সাধারণ রোগের সাধারণ চিকিৎসা নিয়ে কাজ করবো যেহেতু কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না ভয়ে। পরে আমরা দেখি অনেকে মধ্যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার একটা লক্ষণ আছে। তবে আমাদের উপজেলায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে পেয়েছি সবগুলোই নেগেটিভ এসেছে।
যাদের যাদের করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। আইসোলেশনে যারা আছেন তাদের নিয়মিত খোঁজ নেয়া ও ওষুধ-পত্র কখন কী লাগছে সেটা দেখছে এই দলটি।
গর্ভবতী নারীরা এই অবস্থায় ভুক্তভোগী। ইন্দ্রিলা বিশ্বাস এই মেডিকেল দলের আরেকজন চিকিৎসক যিনি বলেন, অনেক গর্ভবতী নারীরা এই সেবার আওতায় এসেছে। এখন যখন একটা সামাজিক দূরত্ব ও প্রশাসনিক অচলাবস্থা চলছে গর্ভবতী নারীরা বেশ ভুক্তভোগী যেহেতু তাদের নিয়মিত একটা স্বাস্থ্যসেবা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমরা তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, এখন যেহেতু একটা ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে জ্বর সর্দি কাশি এধরণের রোগী এসেছে। কিন্তু তার বাইরে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন গর্ভবতী নারীরা।
তিনি আরও বলেন, এটা এমন একটা সময় গর্ভবতী নারীদের জন্য যখন মানসিক প্রশান্তি পাওয়া কঠিন। কারণ এই অচলাবস্থায় স্বভাবতই মানসিক চাপ বাড়ছে, মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। সেই সময়ে এসে চিকিৎসা না পাওয়ার ভয়টা জেঁকে বসে।
তথ্যসূত্র বিবিসি বাংলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।