আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভেড়া পালন করছেন চীনের উইগুর মুসলিমদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ভেড়ার খামারীরা। ভেড়া পালনের স্মার্ট পদ্ধতির ফলে ভেড়ার প্রজনন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি উৎপাদিত পশমের পরিমাণও বেড়েছে।
সাদা ভেড়ার পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে মনের আনন্দে। চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে এখন অনেক স্মার্ট ভেড়ার খামারে গেলে চোখে পড়বে এমন দৃশ্য। সিনচিয়াংয়ের বেইংগোলিন মংগোলিয়ান স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচারে স্মার্ট ভেড়ার খামারে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। সিনচিয়াংয়ে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ ৪৮ মিলিয়ন ভেড়ার নিবন্ধন করা হয়েছে। বসন্তকালীন চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনেক ভেড়াকে। আবার প্রাকৃতিক চারণক্ষেত্রের উপর চাপ কমাতে খামারে রেখে দেয়া হচ্ছে অনেক ভেড়াকে।
এই খামারে দুই হাজারের বেশি ভেড়া আছে। খামারের ভিতরে আলো বাতাসের ভালো ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন ওদের ভালো খাবারও দেয়া হয়। খাদ্যের মধ্যে দেয়া হয় ভুট্টার দানা, ভুট্টার ডাঁটি, আলফাআলফা এবং লিকোরাইস। শাবকদের ভুট্টার গুড়া খাওয়ানো হয় কারণ তাদের পাকস্থলী এখনও মাত্র গড়ে উঠছে। গর্ভবতী ভেড়াদের নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করা হয়। মা ও ভ্রুণের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হয় সব ঠিকঠাক আছে কিনা।
চাং ওয়েনসিন একজন ডাক্তার। তিনি বলেন, ‘এই ভ্রুণের বয়স দুই মাসের বেশি, প্রায় তিন মাস। এর বৃদ্ধি বেশ ভালো। ভেড়াদের ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নেয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আগে একটা ভেড়া গর্ভবতী কিনা , ভ্রণ ঠিকমতো বাড়ছে কিনা তা বোঝার জন্য হাতে ধরে অনুমান করতে হতো। সবসময় সেটা ঠিকমতো বোঝা যেত না। এখন সিনচিয়াংয়ের অনেক খামারে এসব উন্নত যন্ত্রপাতি আছে। সাধারণত টেকনিশিয়ানরাই এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।’
উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এখানে প্রতিপালন করা ভেড়ারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। সিনচিয়াংয়ের আকেসু প্রিফেকচারের বাইছাং কাউন্টি ভেড়ার পশমের জন্য বিখ্যাত। বাইছাং কাউন্টিকে বলা হয় ‘চীনা উন্নত পশমের ভেড়ার শহর’। এখানকার ভেড়ার পশম সিনচিয়াংয়ের অন্যান্য এলাকা, ইনার মঙ্গোলিয়া এবং সিচুয়ান প্রেদেশের ভেড়ার পশমের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। এখানকার ভেড়ার খামারগুলোতে আধুনিক পদ্ধতিতে পশম সংগ্রহ করা হয়। অনেক সময় বাড়িতে পালন করা ভেড়াও এখানে নিয়ে এসে পশম সংগ্রহ করা হয়।
আজিমত আউত একজন স্থানীয় পশুপালক। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ২৫০টি ভেড়া আছে। ভেড়া পালন করে বছরে আমাদের রোজগার হয় সত্তর থেকে আশি হাজার ইউয়ান।’ এ্খানকার ভেড়ার পশমের গুণগত মান ভালো। এগুলো ল্যাবরেটরিতে বিশেষভাবে পরীক্ষা করা হয়। সিনচিয়াংয়ে ভেড়া পালন অনেক উদ্যোক্তাকে আকৃষ্ট করেছে। পশুপালকরা ভেড়া পালন করে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করেছেন। এখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের অবস্থার উন্নয়নে বড় অবদান রাখছে ভেড়া পালন শিল্প। সূত্র: সিএমজি।
স্কুলে যেতে অনুপ্রাণিত করতে পাঁচ বছরের মেয়েকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।