ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান শেষ করেছে র্যাব। পরে তাকে ওই কার্যালয় থেকে বের করে নিয়ে যায় র্যাব। এ সময় বেশকিছু নেতাকর্মী সম্রাটকে ঘিরে স্লোগান দেয়। তারা সম্রাটকে নিয়ে যেতে দেবে না বলে দাবি জানায়।
সম্রাট যখন র্যাব পরিবেষ্টিত অবস্থায় বেরিয়ে যান থকন তিনি চিৎকার করে কিছু একটা বলছিলেন বলে নেতাকর্মীরা জানান। সম্রাট হাত উচিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন।
সেখানে উপস্থিত একজন জানান, সম্রাট তার সমর্থকদের বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র চলছে, হুশিয়ার। রাজনীতিকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র চলছে। আপনার হুঁশিয়ার থাকবেন, সাবধান থাকবেন।’
এরপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানা যায়নি। সম্রাটকে কোন থানায় হস্তান্তর করা হবে তা র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। এছাড়া তাকে দণ্ড দেয়ায় কারাগারে নেয়া হবে কিনা তাও পরিষ্কার করা হয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে। এদিকে সূত্র জানায়, সম্রাটকে নিয়ে র্যাবের একটি দল কেরাণীগঞ্জ কারাগারের দিকে যাচ্ছে।
রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা ৬ টায় অভিযান শেষ করে সংবাদ সম্মেলন করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
র্যাব জানায়, কার্যালয়টি থেকে অবৈধ অস্ত্র, ছয় রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, বিদেশি মদ, ১১শ ইয়াবা, নির্যাতন করার ইলেকট্রিক যন্ত্র, চাকু, লাঠি উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ৬ মাসের সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এছাড়া আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়ায় তাকেও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদেরকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।