আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হংকংয়ে আরো বেশি গণতন্ত্রের দাবিতে কয়েকমাস ধরে আন্দোলন চলছে৷ এর মধ্যে বৃহস্পতিবার হংকংয়ের জন্য একটি আইন তৈরির প্রস্তাব পাস করেছে চীন৷ জার্মানি এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছে। খবর ডয়চে ভেলে’র।
আগামী বছরের শুরু থেকে হংকংয়ে এই আইন কার্যকর করতে চায় চীন৷ এই আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক তৎপরতা চালানো, সন্ত্রাসবাদ ও হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে এমন কাজের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হবে৷
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা করছেন, এই আইন হংকংয়ের উপর বেইজিংয়ের ক্ষমতা আরো বাড়াবে৷
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস এই আইন প্রণয়ন পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হংকংয়ে ভবিষ্যতে ‘বাক ও একত্রে মিলিত হওয়ার স্বাধীনতা’ এবং গণতান্ত্রিক বিতর্কচর্চার সুযোগের ‘নিশ্চিয়তা থাকতে হবে’৷ মাস বলেন, ‘‘হংকংয়ের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি ও আইনের শাসন৷ নিরাপত্তা আইন দিয়ে এসব মৌলিক অধিকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যাবে না৷”
হংকং ছাড়ার আগ্রহ
আন্দোলন চলার সময় গতবছরের শেষ দুই কোয়ার্টারে হংকংয়ের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা অন্য দেশে অভিবাসী হয়েছেন৷ এছাড়া গত ডিসেম্বরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ‘অপরাধের রেকর্ড নেই’ এমন কাগজ পেতে পুলিশের কাছে আবেদন করেন৷ যারা অন্য দেশে অভিবাসী হতে চান তাদের এমন কাগজ প্রয়োজন হয়৷ আবেদনের এই সংখ্যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি বলে জানা গেছে৷
৩০ বছর বয়সি সাংবাদিক জোসেফিন হংকংয়ের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ এতদিন হংকং ছাড়ার পরিকল্পনা না করলেও এবার নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাব পাস হওয়ায় তিনি অভিবাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন৷
চীনা ব্যাংকে কর্মরত চু’ও হংকংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত৷আন্দোলনেরসময় থেকেই তিনি অভিবাসনের পরিকল্পনা করছিলেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানান৷ তবে নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাব পাসের পর এখন তিনি এ ব্যাপারে আরো নিশ্চিত হয়েছেন৷ চু বলেন, তিনি চান না তাঁর দুই বছর বয়সি ছেলে ভবিষ্যতে কোনো আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য পুলিশের নিপীড়নের শিকার হোক৷ ১৯৮৯ সালে তিয়েনআনমেন চত্বরে শিক্ষার্থী ও গণতন্ত্রপন্থিদের উপর নিপীড়নের কথা তিনি ভুলে যাননি বলেও জানিয়েছেন৷
এদিকে, অভিবাসী হতে চেয়ে আবেদনের সংখ্যা গত কয়েকদিনে আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা হংকংয়ের দুটি সংস্থা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।