জুমবাংলা ডেস্ক: হজ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত যেকোনো অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। খবর ইউএনবি’র।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে হজ ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর ভূমিকা বিশাল। কারণ হজযাত্রীদের ৯৫ শতাংশের বেশি হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সৌদি আরব গমন করে থাকেন। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, অনেক এজেন্সি যেসব সুযোগ-সুবিধার কথা বলে হাজিদের মক্কা-মদিনায় নেয়, ওখানে যাওয়ার পর তা আর রক্ষা করে না। ফলে হাজিদের অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়।’
হজযাত্রীদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিতে রাষ্ট্রীয় খরচে হজ করতে যাওয়া ওলামা-মাশায়েখদের সাথে শনিবার বঙ্গভবন দরবার হলে এক নৈশভোজে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এজেন্সিগুলোর অনিয়মের কারণে বিপদে পড়া হজযাত্রীদের বিষয়ে শেষ সময়ে সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এমন কার্যক্রম দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। হাজিদের সাথে এ ধরনের প্রতারণা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এবারের হজ ব্যবস্থাপনা খুবই সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, হজের অন্যান্য কার্যক্রমও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। ‘এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
বাংলাদেশের প্রায় সব হজযাত্রীকে গত বছর পর্যন্ত জেদ্দায় ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সৌদি সরকারের সহযোগিতায় এ বছর থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হজযাত্রীর জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এতে হাজিদের কষ্ট এবং লাগেজ পরিবহনের বিড়ম্বনা অনেকাংশে লাঘব হয়েছে।
হজ করতে যাওয়া ওলামা-মাশায়েখদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে আপনারা বাংলাদেশকে তুলে ধরবেন। বাংলাদেশি হাজি বা কোনো নাগরিকের আচার-আচরণ, কথা-বার্তায় কেউ যাতে কষ্ট না পায়, আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি না হয়, সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন।’
‘হজ মিশনে প্রথমবারের মতো আপনাদের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি প্রমাণ করে যে বর্তমান সরকার ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদায় বিশ্বাসী। আপনাদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় সম্মানিত হাজিরা সঠিকভাবে হজব্রত পালন করতে সক্ষম হবেন। তাছাড়া হজ পালনকালে আপনাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা আগামী হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে,’ যোগ করেন আবদুল হামিদ।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন মাদানী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে এবং চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রীর সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।