হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এই নিত্যপণ্যটির। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম গড়ে ৫০-৫৮ টাকা বেড়েছে। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ২২ টাকার পেঁয়াজ ২৫-২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম ঈদের পরেও ছিলো। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে সে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৮ টাকায়। নগরীর বিভিন্ন বাজার ও উপজেলাসমূহের গুরুত্বপূর্ণ বাজারে একই চিত্র দেখা গেছে। এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যথার্থ কারণ না থাকলেও খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন মৌসুমে পেঁয়াজ তোলার সময় বৃষ্টি ছিল। এতে নষ্ট হওয়ার ভয়ে দেশি পেঁয়াজ আগাম বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে আড়তগুলোতে এখন দেশি পেঁয়াজ কম সরবরাহ হচ্ছে। তাছাড়া সামনে কোরবানির ঈদ এবং ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কথা বলেছেন তারা।
কুমিল্লা নগরীর চকবাজার, রাজগঞ্জ, রাণীর বাজার, বাদশা মিয়া বাজার, নিউ মার্কেট, টমছমব্রিজ, মেডিকেল কলেজ রোডসহ উপজেলার বাজারের একই হাল। এছাড়া শহরের অলিতে গলিতে বিভিন্ন মুদি দোকানে ৫৫-৬২ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। দেশী পেঁয়াজের ছোট ও বড় আকৃতির পেঁয়াজের একই দাম। তবে পুরাতন, নষ্ট ও কিছুটা পঁচা পেঁয়াজের দাম কম।
চকবাজার বাজার সমিতির সদস্য ওসমান গণি বলেন, ঈদের পর পাইকারি মার্কেট ৫-৬ দিন বন্ধ ছিলো, এতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও নতুন মাল বস্তা প্রতি ৩০০-৩৩০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়, এ জন্য দাম বেশী।
পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের মুদি দোকানী কাউছার মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে দামের উপর খুচরা দাম নির্ভর করে। বস্তা প্রতি দুই- আড়াই কেজি পেঁয়াজ বাদ যায়। এটার কারণেও দাম কিছুটা বাড়ে। বেশী দামে কিনলে বেশী দামে বিক্রি করতে হয়।
ভোক্ত অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলা সহকারি পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, খুচরা বিক্রেতা যারা তারা অবশ্যই পাইকারি বাজারের ক্রয় রশিদ দেখাতে হবে। যদি তারা না পারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।