জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি চেয়েছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ্।
সোমবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিট বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রধান ফটকের পাশে আবরার ফাহাদের লাশবাহী গাড়ির পাশে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা বরকত উল্লাহ্ মোবাইলে ফোন একটি কল আসে। তখন তিনি কলটি রিসিভ করে কেঁদে ওঠেন এবং আর্তনাদ করে বলেন, ‘আমার নিরীহ ছেলেটাকে ওরা পিটিয়ে মেরে ফেলল। যারা আমার ছেলেকে পিটিয়ে মারল, তাঁদের আমি ফাঁসি চাই।’
রাত ১০টার দিকে বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে আবরার ফাহাদের জানাযা শেষে তাঁর লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স এখন কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়ির পথে। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হবে।
রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেছেন আবরারের বাবা। এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আবারার ফাহাদকে হ’ত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১১জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।