ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে স্ট্যাটাস দেয়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় নম্বর আসামি মুহতাসিম ফুয়াদ।
আবরার ফাহাদ হত্যার অন্যতম এই হোতা বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। সে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৪তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শেরেবাংলা হলের ২০১০ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
ফুয়াদের গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার লাঙ্গলমোড়া গ্রামে। বাবার নাম মো. আবু তাহের ও মায়ের নাম সালমা ইয়াসমিন। ফুয়াদের এক বড় বোন আছেন।
তার বাড়িতেও এখন শোকের ছায়া। পরিবারের মেধাবী ছেলেটির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ ও গ্রেফতারের খবরে মা-বাবা স্তম্ভিত। তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না ছেলেটি এমন জঘন্য ঘটনায় জড়িত হতে পারে। চুরমার হয়ে গেছে তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন।
ছাত্রজীবনে নম্র-ভদ্র হিসেবে পরিচিত থাকলেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ার পরপরই হয়ে ওঠেন বেপরায়া। শেরেবাংলা হলের ২০১০ নম্বর কক্ষ দখল করে তিনি একই থাকতেন। মাঝে মধ্যেই নেতাকর্মী ও বন্ধুদের নিয়ে মদ-জুয়ার আসর বসাতেন।
ফুয়াদের বাবা সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোর থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বর্তমানে চট্টগ্রামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তিনি। ফুয়াদের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায়। ফুয়াদের এক বড় বোন আছেন। ফুয়াদ চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টেই বেড়ে ওঠেন। শান্ত প্রকৃতির ফুয়াদও বুয়েটে ভর্তির আগে কখনো ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
ফুয়াদের বাবা আবু তাহের সেনাবাহিনীতে মেডিক্যাল কোরে চাকরি করতেন। বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টেই বেড়ে উঠেছেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাস স্কুল ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ নিয়ে পাস করে মুহতাসিম ফুয়াদ। অবসরে যাওয়ার পরও দুই সন্তানের পড়াশোনার ব্যয় বহন করতে তিনি এখন সেনা কল্যাণ সংস্থার ঢাকা অফিসে চাকরি করছেন। পরিবার নিয়ে ঢাকায়ই থাকেন।
হতাশা বাবার চোখেমুখে। আবু তাহের আক্ষেপ করে বলেন, ‘ছেলের কোনো অভাব ছিল না। তাকে কোনো অভাব বুঝতে দেইনি। কেন সে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ল? কেনই বা হত্যার অভিযোগ আসবে তার বিরুদ্ধে?’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।