জুমবাংলা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় আ্ম্ফান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুটে। শুক্রবার (২৯ মে) সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত মাত্র ১টি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারা পার করা হচ্ছে। এতে করে ফেরিতে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ঢাকায় ফিরতে শুরু করা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ পড়েছে বিপাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩ নম্বর ঘাট দিয়ে যানবাহন পারা পার করা হচ্ছে। বাকি ৪, ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুন সম্পূর্ণ তলিয়ে যাওয়ায় তা বন্ধ রাখা হয়েছে। ২ নম্বর ঘাটের পন্টুন পানিতে তলিয়ে থাকলেও সকালের দিকে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ফেরিতে ওঠানামা করেছে। পরে দুপুর ১২ টার পর সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্রাক চালক জসিম বলেন, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটের একাধিক পন্টুন পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি ডিঙিয়ে ফেরিতে উঠলে ড্রামে পানি গেলে ইঞ্জিনে সমস্যা হয়।
যশোরগামী ট্রাক চালক সোনা মিয়া বলেন, পন্টুনে পানি থাকলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠতে হয়।বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, সকাল থেকে ব্যক্তিগত যানবাহন বাড়তি থাকায় ৯টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারা পার করা হচ্ছে। আমাদের ১৬ টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে পদ্মায় গেল ২৪ ঘণ্টায় ২৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র স্রোত ও ঢেউ থাকায় ফেরিতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০- ২৫ মিনিট বেশি সময় লাগছে। এদিকে মাগুরা থেকে নবীনগরগামী যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, আগে ঈদের আগে ও পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য বসে থাকতে হতো। কিন্তু এখন ঘাটে আসা মাত্রই ফেরিতে উঠতে পারলেও তীব্র স্রোতের কারণে বেশি সময় লাগছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।